আইন ভঙ্গ করে দেশের বাজারে বিদেশি সিগারেট আমদানি ও বিক্রয় না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আমদানিকারক, উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, তারা যেন দেশের প্রচলিত আইন পরিপালন ব্যতীত বিদেশি সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ, বাজারজাত ও বিক্রয় না করেন। গত (২ এপ্রিল, ২০২৪) মঙ্গলবার এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন।
এনবিআর আরও বলেছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে চোরাচালানকৃত বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাস্টমস আইন ১৯৬৯, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫ (১০) মোতাবেক সিগারেট আমদানির বিধান এ রকম ‘আমদানিযোগ্য সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে. তবে বন্ডেড ওয়্যারহাউস কর্তৃক সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এ ধরনের সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বাংলা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় মুদ্রণ করা যাবে।
অভিযোগ আছে, দেশের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপারশপ, শপিং মল ও সাধারণ মুদিদোকানে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান না মেনে আনা এসব সিগারেট বাজারজাতকরণের ফলে আইন ভঙ্গের পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকার কাঙ্খিত রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ছাড়া কাস্টমস আইনের ধারা-২ (এস) এ কোন ধরনের কার্যক্রম চোরাচালান হিসেবে বিবেচিত হবে, তার সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন ও আমদানি নীতি আদেশের উল্লেখিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বিদেশি সিগারেট আমদানি, উৎপাদন,সরবরাহ, বাজারজাত ও বিক্রয় করা চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে এবং তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসারে অনুযায়ী
ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট কিংবা বিড়ি তৈরি, মজুত, সরবরাহ বিক্রয় ও ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ। এ বাস্তবতায় এনবিআর এই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।