দেশের বেসরকারি খাত পুঁজিবাজার থেকে টাকা নেয় না। পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংক খাতের ওপর চাপ কমাতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। গতকাল (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটের প্রাক গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করেছে। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের বেসরকারি খাত পুঁজিবাজার থেকে টাকা নেয়না কেন? বাজার নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। সব দায় ব্যাংক খাতের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের ওপর চাপ কমাতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির চীফ এডভাইজর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এবং এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য প্রদান করেন আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান কাউন্সিল সদস্য আরিফ খান।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগামী মে ও জুন মাসে সরকারের ব্যয় বাড়বে। এই ব্যয়ের চাপ পড়বে দেশের ব্যাংক খাতে। তবে ব্যাংকগুলোর জন্য এই চাপ নেওয়া খুব কঠিন হবে। ম্যাকরো ইকোনোমিকসে তিনটি মূল সমস্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমত মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। এক্সচেঞ্জ মার্কেট স্থিতিশীল করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি বন্ড নিয়ে কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন, সুদের হার বৃদ্ধির কারণ সরকার সব খেয়ে ফেলেছে। টাকা ছাপানোর কারণেই মূল্যস্ফীতির বর্তমান এই অবস্থা। যার খেসারত আমরা এখন দিচ্ছি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে আমরা সরকারকে ঋণ দিবো না। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দিচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে কোনো কাজ হবে না, কারণ ব্যাংকগুলো সরকারকেই আবার ঋণ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, টাকাকে আকর্ষণীয় করতে উচ্চ সুদহারের দিকে যেতে হবে। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও এটি করা দরকার।