গুলশান শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি মাঠ ও পার্কে অবৈধ স্থাপনা তৈরি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা। সরকার শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি মাঠ ও পার্কটির নামকরণ করে সবার জন্য উমুক্ত করে দিয়েছিল। কিন্তু মাঠ ও পার্কে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব নামে একটি প্রতিষ্ঠান বেআইনীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে, বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম করে আসছে। বৃষ্টির পানি শোষণের জন্য রাখা উম্মুক্ত স্থানটি তারা ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে, ফুটবলের টার্ফ বানাচ্ছে। সবার জন্য উম্মুক্ত খেলার মাঠটি ঘেরাও করে শুধু ক্লাবের ক্রিকেট সদস্যদের জন্য সংরক্ষণ করে দিয়েছে। মাঠে শিশু, কিশোর, সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। বিদ্যমান মাঠ ও পার্ক আ্ইন, পরিবেশ আইন, আদালতের ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের এ বেআইনী ও দুঃসাহসিক কাজ বন্ধ করার দাবিতে আজ ০৩ মে সকাল ১০ টায় ১০৯ নম্বর রোডে পার্কে একটি সমাবেশ হতে এ বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
বক্তারা বলেন, এটা কমিউনিটির মাঠ, এটাকে কোনভাবে স্টেডিয়াম, বা ক্লাবের কোচিং মাঠ বানানো যাবে না। এ মাঠকে সকল খেলার জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে। যাতে শিশু-কিশোরা অবাধে প্রবেশ করে খেলতে পারে। পার্ক যে সকল বেআইনী অবকাঠামো আছে তা সরাতে হবে। সবুজ মাঠ দখল করে কংক্রিটের কৃত্রিম ফুটবলের টাফ বানানো যাবে না।
বক্তারা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে পার্ক ও মাঠ দখল, ইচ্ছামত এতে স্থাপনা তৈরিসহ নানাভাবে এর প্রকৃতি ও শ্রেণীর পরিবর্তন, ভাড়ার মাধ্যমে বানিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানায়। বক্তারা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সামনে কিভাবে একটি ক্লাব তাদের ইচ্ছে মতো মাঠে অবকাঠামো নির্মাণ করছে তা বিস্ময়ের বিষয়।
বক্তারা মাঠ ও পার্কে স্থাপিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, মাঠে শিশুসহ সকল সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশ নিশ্চিত, মাঠের ব্যবস্থাপনা সিটি কর্পোরেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা, ক্লাব এখান হতে অপসারণ এবং মাঠের মুলভবনের কক্ষগুলোতে লাইব্রেরী করা দাবি জানান।
সমাবেশে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মাহবুবুল করিম বাচ্চু-র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিবেশবিদ বাপা-র সহসভাপতি ইকবাল হাবিব, লেখিকা জেবুনাহার আনার কলি, মাঠের পরিকল্পনাকারী স্থপতি এম জাকিউল ইসলাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীল কবির, পবার সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ সুমন, পরিবেশ ও আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলম, গ্রীনভয়েজ এর সহসভাপতি সুমন, পরিবেশবাদী ড. মাহবুবুর রহমান রকেটে প্রমুখ।