ঢাকার তুলনায় গ্রামাঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হলেও গ্রামের তুলনায় শহরে এর তীব্রতা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, শহরাঞ্চলে নির্বিচারে গাছপালা কাটা হয়েছে। এদিকে যদি নগরবিদরা ব্যবস্থা নেন, তাহলে তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
রোববার (৫ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, এর প্রভাবে অকাল জন্ম এবং শিশুদের তীব্র তাপপ্রবাহের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় নীতিমালা উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কীভাবে এই গরমে মানুষকে সুস্থ-সবল রাখতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চলছে।
সারা পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুবাই বিমানবন্দরে বন্যায় জলাবদ্ধতা হবে তা আমরা কখনো চিন্তা করিনি। একইভাবে বাংলাদেশেও তীব্র গরমে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা দ্রুত আলোচনা করে বলেছি, যাতে যেসব রোগীর সার্জারি বা চিকিৎসা কিছু সময় পরে করা যাবে তাদের ভর্তি না করতে। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধ যারা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
এই নীতিমালাকে একটি সময়োপযোগী কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছরই গরম থেমে যাবে এমনটা না। গরম আরও বাড়তে পারে, বা এমনই থাকতে পারে। এরই মধ্যে এই নীতিমালা এলাকায় পাঠানো হয়েছে। অনলাইনে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোতেও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডিপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিংহাম প্রমুখ।