মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” থেকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” এ রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছেন। সে অনুসারে দেশের উন্নতি এবং অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে হলে দেশকে অনেকটাই উন্নত বিশ্বের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে বোঝায় প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র। সে অনুসারে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ এই চারটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ” হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনীমূলক। এটির বাস্তব রূপ দেবার জন্য অন্যান্য বিষয় নিশ্চিতের পাশাপাশি স্মার্ট নাগরিক এর জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরী। সীমাবদ্ধ সম্পদ ও নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যখাতের অর্জন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যখাতের অর্জন ধরে রাখতে হলে রাষ্ট্রের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আধুনিক ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন জরুরি।
প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্য একটি ব্যাপক বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার “আলমা আতা” ঘোষণা সকল মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্ব দিয়ে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ঘোষণায় স্বাস্থ্যকে শুধু শারীরিক বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। এটি মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ের সাথেও সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে এর পরিধি আরো ব্যাপকতা পেয়েছে। উল্লেখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি ইমোশনাল হেলথ, স্পিরিচুয়াল হেলথ, বুদ্ধিগত স্বাস্থ্যর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
গত ১০ বছরে যে হারে চিকিৎসাখাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে আগামী ২০৪০-৪১ সাল পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি রাষ্ট্রের জন্য একটি বিরাট সংকট তৈরি করবে। চূড়ান্ত সংকটের মুখোমুখি হবার পূর্বেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার মধ্যে পার্থক্য ব্যাপক। শুধুমাত্র চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থ ব্যয় করা হলে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পাবলিক হেলথকে প্রাধান্য দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। পাবলিক হেলথ এর ফোকাস হচ্ছে ব্যক্তি এবং তার কমিউনিটির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত এবং উন্নত করা। সমাজের সংগঠিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানুষের জীবনকাল বৃদ্ধি ও মানব স্বাস্থ্য উন্নয়নের বিজ্ঞানকে বলা হয় পাবলিক হেলথ। মূলত এটি শিক্ষা কর্মসূচি, নীতিকে সুপারিশ, পরিষেবা এবং গবেষণার মাধ্যমে সমস্যাগুলির পুনরাবৃত্তি হওয়া থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।
চিকিৎসা বা ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের সাথে জনস্বাস্থ্যের পার্থক্য বোঝাতে গেলে একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। যেমন- ধরা যাক হঠাৎ কোনো এক্সিডেন্টের মাধ্যমে একজনের পা ভেঙ্গে গেলো। এমতাবস্থায় একজন ক্লিনিশিয়ানের মূল ফোকাস হবে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার মাধ্যমে ভাঙ্গা পা ঠিক করা। অর্থাৎ তার সমস্যাটির প্রতি এককভাবে ফোকাস দেওয়া। এক্ষেত্রে পাবলিক হেলথ পদ্ধতি হবে হলিস্ট্রিক বা বহুমাত্রিক। একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ফোকাস করবেন অনেক গভীরে। তিনি শুরু করবেন এভাবে যে, কিভাবে এবং কেনো উনি একসিডেন্ট করলেন? সমস্যা কোথায় ছিলো? তিনি কি দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলেন, উনার কি ড্রাইভিং স্কিল কম ছিলো? চালক কি এলকোহল অথবা ড্রাগ সেবন করেছিলেন? এটা কি ওখানকার আইনে নিষিদ্ধ?
আইনে নিষিদ্ধ থাকলে এটি ঠিক মতো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি? ড্রাইভারদের আচরণ বিষয়ে কমিউনিটি প্রত্যাশা কি? রিকভারীর জন্য সামাজিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে কি? রোডটি কি ড্রাইভিংয়ের জন্য উপযোগী ছিলো? যে গাড়ীটি সে চালচ্ছিল সেটি কি ঠিকভাবে রক্ষানাবেক্ষন করা হচ্ছিলো? যদি না হয় তবে কেন? আর্থিক সমস্যার কারণে সেকি রক্ষনাবেক্ষন করতে পারছিলো না? আর্থিক সমস্যা কেন? তার কি চাকুরী নেই? চাকুরী নেই কেন? সে কি শিক্ষাগ্রহণের জন্য ভালো কোন প্রতিষ্ঠান পায়নি? মোট কথা পাবলিক হেলথ একটি ব্যাপক বিষয় যেখানে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় বিবেচনায় নেওয়া হয় এমন সব বিষয় যাতে পরবর্তীতে এমনটি আর না ঘটে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই পাবলিক হেলথকে গুরুত্ব দিয়ে গৃহিত কিছু উদ্যোগকে দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এ রাষ্ট্রগুলো নিজেদের দেশে ইতিমধ্যেই অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোনো কোনো রাষ্ট্রে পাবলিক হেলথ বিষয়ে পৃথক মন্ত্রণালয়ও রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ খাতে তুলনামূলক অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে সহজে স্বাস্থ্য ব্যয় কমিয়ে এ সৃষ্ট সংকট থেকে উত্তোরনের পথ খুঁজে বের করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে গবেষণার আলোকে কর্মপন্থা নির্ধারন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানটি যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পাশাপাশি রাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি যেমন প্রয়োজন তেমনি সুযোগ ও সম্ভাবনাও আমাদের রয়েছে। ইতিমধ্যেই সারাদেশে স্থাপিত ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিককে সম্পৃক্ত করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করতে পারে “হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশ”। এ প্রতিষ্ঠানটি জরুরি অবস্থায় সমাজে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য ঝুকি, মহামারী এবং নতুন নতুন অজানা রোগ প্রতিরোধে খুব দ্রুত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন থাই হেলথ ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কাজ করেছে।
রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে প্রতি বছরই সরকারের বাজেট ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় খাতগুলোতে অনেক সময় অর্থের যোগান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এখানে রাষ্ট্রের মূল রাজস্ব থেকে অর্থ বরাদ্দের না করে ক্ষতিকর কিছু পণ্যের উপর (যা সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবিনযাপনের উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন) কর ও সারচার্জ আরোপ করে সেই অর্থে এ ধরনের ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা করা যায়। যেমন : তামাক। এ পণ্য থেকে যতটা আয় হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি এবং ব্যয় হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তামাকজনিত রোগ ও অকাল মৃত্যুর কারণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। সে সময়কালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে এ খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের পরিমান ছিলো ২২ হাজার ৮ শত ১০ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্যকে সব সময় বানিজ্যের উর্ধ্বে স্থান দিয়ে ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে দায়বদ্ধ করার পাশাপাশি তামাক, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, একবার ব্যবহায্য প্লাষ্টিক পণ্যের ন্যায় অন্যান্য পণ্যের উপর উচ্চ হারে কর এবং সারচার্জ আরোপের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটও রাষ্ট্রিয় খাতে নিয়ে হেলথ প্রমোশনে ব্যবহার করতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে থাই হেলথ এর প্রস্তাবিত বাজেট ছিলো মোট বাজেটের ১%। রোগের চিকিৎসায় প্রতিবছর রাষ্ট্রকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হতো। সে ক্ষেত্রে প্রস্তাব করা হয়, যদি স্বাস্থ্যখাতে ১০০ ডলার ব্যয় করতে হয় তাহলে অন্তত ১ ডলার রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করতে হবে। আর্থিক বিবেচনায় ১ ডলার খুবই সামান্য কিন্তু এই এক ডলারই চিকিৎসার পিছনে ব্যয়কৃত ১০০ ডলারের তুলনায় থাইল্যান্ডে রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলাদেশেও হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা সম্ভব। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে কমে আসবে চিকিৎসা ব্যয় এবং উন্নয়ন ঘটবে জনস্বাস্থ্যের।
জীবন যাপন এবং মানসম্মত জীবন যাপনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মানসম্মত জীবনযাপন ও সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিতে কৌশলগত পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ১৯৮৭ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে “ভিক হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” (VicHealth) প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটির মূল ফোকাস রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্বাস্থ্যের প্রচার। তারা মানুষকে নিজেদের স্বাস্থ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য উন্নত করতে সক্ষম করে। ১ ভিক হেলথ স্বাস্থ্যকর খাবার বিষয়ক প্রচারণা, নিয়মিত শরীর চর্চা, তামাক নিয়ন্ত্রণ, অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও কাজ করছে। যা ভিক্টোরিয়ানদের স্বাস্থ্যকর, সুখী জীবন যাপন করতে সাহায্য করছে। “অষ্ট্রেলিয়ান হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” সড়ক দূর্ঘটনার কারণে আঘাতজনিত অসুস্থ্যতা এবং মৃত্যু কমিয়ে এনেছে। থাই হেলথ, ভিক হেলথসহ বিশ্বের প্রায় ২৩ টি দেশ ইতিমধ্যেই হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ফাউন্ডেশনগুলো জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
স্বাস্থ্যের সাথে পানি, মাটি, বায়ূ, যাতায়াত, হাটা, শরীর চর্চা, সার্বিক পরিবেশ, বিনোদনের সুযোগ সবকিছুর সম্পর্ক রয়েছে। একটি রাষ্ট্রে বিভিন্ন বয়সী মানুষের বসবাস। শারীরিক সুস্থ্যতার পাশাপাশি প্রতিটি মানুষের মানসিক সুস্থ্যতার প্রতি গুরুত্ব প্রদান অত্যন্ত জরুরি। মানসিক সংকটে বাড়ছে আত্বহত্যার মতো ঘটনা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণা অনুসারে, দেশে প্রতি লাখে আত্মহত্যা করছেন ৮ দশমিক ৫ (প্রতিবছর প্রায় ১৪ হাজার) জন।
শিশু, কিশোর ও তরুণদের মধ্যে উঠতি বয়সে চারপাশের অজানাকে জানার, একটা নতুন কিছু করার আকাঙ্খা তৈরি হয়। এসময়টায় তাদের সময় এবং সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া খুব জরুরি। মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এলাকাভিক্তিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, লাইব্রেরি থাকা জরুরি। আবার এক একজন মানুষ ধীরে ধীরে বৃদ্ধ বয়সে এসে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। কিন্তু কোয়ালিটি সময় ব্যয় করার মতো জায়গা না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে একাকিত্বে ভোগে। এ সময়টায় যদি তরুণদের প্রাণ শক্তি এবং বৃদ্ধদের অভিজ্ঞতার সম্মিলন ঘটানো প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভালো কিছু পাওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল বিষয় এককভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে বন ও পরিবেশ, সমাজ কল্যাণ, নারী ও শিশু, সংস্কৃতি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঠিক রাখার দায়িত্ব এককভাবে রাষ্ট্রের উপর ছেড়ে না দিয়ে প্রত্যেক নাগরিককে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত এবং পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে। যেমন- করোনা থেকে সুরক্ষায় মাক্স ব্যবহারের বিষয়টি সম্পর্কে রাষ্ট্র দায়িত্ব নিয়ে সচেতন করতে পারে। কিন্তু মাক্স পরিধান করার দায়িত্ব নাগরিকদের নিতে হবে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান, উন্নয়ন কর্মী
syeda_anonna@yahoo.com
তথ্য সূত্র
১. https://www.researchgate.net/publication/261749633_On_the_road_to_prevention_Road_injury_and_health_promotion