জাপানে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। গতকাল (২৭ মে) সোমবার সকালে তারা ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
জাইকার ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি’শীর্ষক প্রশিক্ষণ গত ৮-২৩ মে পর্যন্ত জাপানে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর বাস্তবমুখী গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসহ জাপানের রোড ট্রাফিক সেফটি, অ্যাক্সিডেন্ট ডাটা অ্যানালাইসিস, ট্রাফিক সিমুলেশন্স, ট্রাফিক ওয়ার, পাবলিক রিলেশন্স অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ডিএমপির কর্মকর্তারা।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা হলেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান, অতিরিক্ত উপকমিশনার (ট্রাফিক-তেজগাঁও) কাজী রোমানা নাসরিন, অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগ) কে এন রায় নিয়তি, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক রমনা) মো. সাকিব হোসাইন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগ) বাহা উদ্দীন ভূঁঞা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিরপুর জোন) মো. হালিমুল হারুন, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. সুজাউদ্দৌলা চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মোস্তফা কামরুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. আবু জাফর, সার্জেন্ট বিপ্লব হোসাইন, সার্জেন্ট মিনহাজুল হোসাইন খান ও সার্জেন্ট এস এম কামরান।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের দ্বিতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রশিক্ষণ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মানুষকে শিশুকাল থেকেই ট্রাফিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানানো ও অভ্যস্ত করে তুলতে চিলড্রেন’স ট্রাফিক পার্ক স্থাপন জাপান ট্রাফিক পুলিশের অন্যতম একটি কৌশল। এ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে শিশুকাল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ঢাকায় চিলড্রেন’স ট্রাফিক পার্ক স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বাচ্চারা ছোটবেলা থেকেই স্বাবলম্বী হয়ে কীভাবে একাই স্কুলে যাচ্ছে এবং কমিউনিটি কিভাবে তাদের সহযোগিতা করছে সে বিষয়ে তুলে ধরা হয়।
সভায় ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত শোনেন। ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও জনসাধরণকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করার বিষয়ে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ জন্য তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা ও উত্তরা দিয়াবাড়ি পুলিশ লাইন্সে চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি অ্যাক্সিডেন্ট ডাটা রিসার্সের জন্য জাপানের মতো ডিএমপিতেও ট্রাফিক রিসার্স সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রাফিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করবেন।’
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, জাইকার প্রতিনিধিরাহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।