ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

রিমালে বেশি আক্রান্ত ১০ জেলা, ক্ষয়ক্ষতি বেশি কৃষিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৩০, ২০২৪ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ । ১৬৭ জন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও অতিবৃষ্টির প্রভাবে দেশের কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪৮টি জেলার কৃষিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় অন্তত দশটি জেলার ফসল ও জমির এবং প্রাথমিক আনুমানিক ক্ষতির মূল্য ৫০৮৯৭.৭২০ লক্ষ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক প্রায় ১,৭৩,৪৯১ জন। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পেতে আরও ৭-৮ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

গত রবিবার (২৬ মে) ও সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও অতিবৃষ্টিতে ‘প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ পরিমান প্রায় ১,৭১, ১০১ হেক্টর বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রাথমিকভাবে ৪৮ টি জেলার কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাব পড়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে আক্রান্ত হয়েছে উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের ৬টি জেলার (বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা) এবং খুলনা অঞ্চলের ৪টি জেলার (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল), ৬ট্টগ্রাম অঞ্চলের নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কক্সবাজার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, বর্তমানে মাঠে দন্ডায়মান ফসলি জমির পরিমান প্রায় ১৪,৩০,০৬৫ হেক্টর এবং আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমান প্রায় ১,৭১, ১০১ হেক্টর।

ফসলি জমির মধ্যে রয়েছে, আউশ বীজতলা ১০৮৪৩ হেক্টর, ২১৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, বোরো ৭৭৩০ হেক্টর জমির ধান, বোনা আমন ৪৮২৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৫২১৯০ হেক্টর, পাট ২৯৭৪৯ হেক্টর, ভিল ৭৫৩৬ হেক্‌টর, মুগ ৩৫০৭ হেক্টর, মরিচ ১৪৪৪ হেক্টর দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। পান ৭০৫৮ হেক্টর দুর্যোগ কবলিত হয়েছে।

ফলের মধ্যে রয়েছে, আম ৪৭০৮ হেক্টর, লিচু ১৫৭৫ হেক্টর, কলা ৭৬১৩ হেক্টরসহ মোট ১৭৫৪৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফল দুর্যোগ কবলিত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে বরিশাল অঞ্চলের আউশ বীজতলা ১১০১ হে, আউশ ১৭০৯০ হে, মুগ ২৪১১ যে, শাকসবজি ১৭২৪৭ হে, পান ৩৪৭৩ হে, সহ মোট ৫৪৫৬৪ হে, জমির বিভিন্ন ফসলের জমি আক্রান্ত হয়েছে যার প্রাথমিক আনুমানিক ক্ষতির মূল্য ৫০৮৯৭.৭২০ লক্ষ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক প্রায় ১,৭৩,৪৯১ জন। বরিশাল অঞ্চলের ন্যায় অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষয়য়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলমান রযেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, দুযোগ কবলিত হলেও দ্রুত পানি সরে গেলে অনেক ফসলের জন্য সেটা আর্শিবাদ হয়ে ধরা দিবে যেমন বোনা আমন, আউশ, পাট ইত্যাদি। বোরো ধান কর্তন প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকায় এবং মাঠে কিছু ভুট্টা, চীনাবাদাম ছাড়া অন্য রবিশস্য না থাকায় কৃষি বিরাট ক্ষতির হাত হতে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে।

আসন্ন আমনের জন্যও এ বৃষ্টি সুফল বয়ে আনবে। জমির চাষাবাদ উপযোগী অবস্থা বিশেষ করে খরা প্রবণ এলাকার জন্য বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে যা বিভিন্ন সবজি ও ফলফলাদির জন্য ভূমিকা পালন করবে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং সাত আট দিন পর ক্ষতির মাত্রাটা প্রকৃতপক্ষে বোধগম্য হবে।