ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

মুনাফা, খেলাপি ঋণ আদায়ে রূপালী ব্যাংকের বড় সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৩০, ২০২৪ ২:৪২ অপরাহ্ণ । ২২৪ জন

পরিচালন মুনাফায় বিশাল অর্জন, বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ আদায়, নতুন একাউন্টের হিড়িক- সব বিভাগেই রেকর্ড সৃষ্টির মাধ্যমে তাক লাগাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক পিএলসি। গত এক বছরে রূপালী ব্যাংকের সাড়ে ৫শ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় ও অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ থেকে চলতি বছরে ৪০ কোটি টাকা আদায় এখন ব্যাংক খাতে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি এক বছরে ৮ লাখ নতুন ব্যাংক হিসাব খুলে রেকর্ড সৃষ্টির মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে রূপালী ব্যাংক। এসবের ফলে ২০২৩ সালে ৭০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন সামনে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেখানে ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা।

জানা যায়, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে গত দুই বছরে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে রূপালী ব্যাংক। দুর্দান্ত গতিশীলতার মাঝেও ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে রূপালী ব্যাংকের নেতৃত্ব। যে কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও গত দুই বছরে বিতরণকৃত কোন ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েনি। বরং রূপালী ব্যাংকের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সরকার প্রধানের দূরদর্শীতার সুফল পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

সম্প্রতি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকের ইপিএস সমন্বিতভাবে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৬১ পয়সা থেকে ১ টাকা ৩৫ পয়সা হয়েছে এবং এককভাবে তিন গুণের বেশি বেড়ে ৪৫ পয়সা থেকে ১ টাকা ১৭ পয়সা হয়েছে। পাশাপাশি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ২৭ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা ৩২ পয়সা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৮৯ পয়সায়।

সূত্র বলছে, রূপালী ব্যাংকের নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের নিষ্ঠাশীল আনুগত্য ও ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আকাশচুম্বি আস্থার প্রমাণ পাওয়া যায় গত এক বছরে ব্যাংকটির নতুন হিসাব খোলার সংখ্যা বিশ্লেষণে। যেখানে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫১ বছরে ব্যাংকটির সক্রিয় একাউন্ট ছিল ২২ লাখ, সেখানে এক বছরেই নতুন একাউন্ট যুক্ত হয়েছে ৮ লাখ। বর্তমানে ৩০ লাখ গ্রাহকের রূপালী ব্যাংক জাতীয় সঞ্চয়ের বড় অংশীদারে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে ৬৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে ব্যাংকটির আমানত। পাশাপাশি ব্যাংকটিতে লোকসানি শাখা নেই বললেই চলে। বর্তমানে মাত্র ৭টি লোকসানি শাখা রয়েছে, যা ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

একসময়ে পিছিয়ে পড়া ব্যাংকটির বর্তমান অগ্রগতির কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মাঠ পর্যায় থেকে প্রধান কার্যালয়- ৩৪ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। ১৯৯০ সালে ব্যাংকটিতে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।