দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে শিশু নারীসহ ও ধূমপানি জনসাধারণকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিরোধে রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও নাটক সিনেমায় অযাচিত ভাবে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন বন্ধ করা। এবং যত্র তত্র তামাকের বিক্রয় বন্ধ করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান দোকানে ফেরি করিয়া তামাক বিক্রয় বন্ধ করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল ক্লিনিক ও খেলাধুলার স্থানে ইত্যাদিতে সীমানার ১০০ মিটার মধ্যে তামাক বিক্রয় বন্ধ করা। এবং লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত তামাকজাতক দ্রব্যের বিক্রিয় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গতকাল (৩১ মে ২০২৪) সকালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশু নারীসহ ও ধূমপানি জনসাধারণকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিরোধে রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন হতে ধূমপান এলাকার বাতিলের মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রস্তাব। তরুণদের নেশা দিকে ধাবিত করে তামাক কোম্পানি গুলো কে ওটিটি অনলাইন ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও নাটক সিনেমায় অযাচিত ভাবে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয়েছে, এগুলি বন্ধ করার প্রস্তাব যুক্ত করা হয়েছে। যত্র তত্র তামাকের বিক্রয় বন্ধ করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান দোকানে ফেরি করিয়া তামাক বিক্রয় বন্ধ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল ক্লিনিক ও খেলাধুলার স্থানে ইত্যাদিতে সীমানার ১০০ মিটার মধ্যে তামাক বিক্রয় বন্ধ করা। এবং লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত তামাকজাতক দ্রব্যের বিক্রিয় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিশোর তরুণদের নেশা হতে সুরক্ষায় ইমারজিক তামাক পণ্য যেমন ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ই- সিগারেট, ভ্যাপ ভ্যপিং ভ্যপোট ই লিকুইড ই- তের টোবাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া তামাকজাত পণ্যে যেকোনো ধরনের ফ্লেভার মিষ্টি দ্রব্য আসক্তিকার দ্রব্য রঙ ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা প্রস্তাব করা হয়েছে। তামাক পণ্যের মোড়কে সুচিত্র স্বাস্থ্যকর সতর্কীকরণ বার্তা ৫০% হতে ৯০% উন্নতি করা হবে। এ ধরনের বাস্তবায়নে মনিটর করার জন্য তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ মুদ্রণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড মোড়ক প্রচলন ও মোড়ক ব্যতীত খুচরা তামাক ও একক শালকা বা সিঙ্গেল স্ট্রিক বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রস্তাব করার বিষয়গুলি নিয়ে আইনটি সংশোধন হলে দেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করা সম্ভব বলে আমি আশা বাদি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় আমরা সকলের সকল মন্ত্রণালয়ের বিভাগের সমর্থন চাই একইসঙ্গে গণমাধ্যমে পেশাজীবী সংগঠন সর্বস্ত মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় সুধী, বিড়ি সিগারেট ও ই সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপান, পানের সঙ্গে জর্দা তামাক পাতা এবং মাড়িতে গুল ব্যবহারি ইত্যাদি সব তামাকি মরণব্যাধি হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, হাঁপানিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের অপ্রনীয় ক্ষতিকর বলে আমি মনে করি। এই ক্ষতি কমিয়ে আনতে আসুন আমরা সকলে তামাক নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হয়।