দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হলে এটি হবে দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক-কর আরোপে পরিবর্তনের কারণে বেশ কিছু পণ্য ও সেবার খরচ বাড়তে পারে।
বাড়তে পারে তামাকজাত পণ্যের মূল্য
তামাকজাত পণ্যের মূল্য ও সম্পূরক শুল্কের হারও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে রাজস্ব বোর্ডের। স্তর অনুযায়ী ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম বর্তমানে ৪৫ টাকা, ৬৭ টাকা, ১১৩ টাকা ও ১৫০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। এই ৪টি স্তরে সম্পূরক শুল্কের হার ৫৮ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, প্রতিটি স্তরের প্যাকেট সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫ টাকা করে বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া, কিছু পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানা যায়।
বাড়তে পারে মোবাইল ফোনের কল-খরচ
মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এখন মোবাইল ফোনে কথা বলায় ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়। এ বাজেটে আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মোবাইল অপারেটরদের সিম কার্ড বিক্রির ওপরও কর বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানের ২০০ টাকা সিম বেড়ে ৩০০ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মূল্য সংযোজনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে বর্তমানে ভ্যাটের হার ২ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ। এই ভ্যাট আরও ২ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানা যায়।