চলতি বছরের ১৯ জুন পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি বা ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তৃতীয় কিস্তির অর্থ যোগ হলে মোট রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ২৬ কোটি ডলার। গত ১৯ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আর ১২ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ ডলার। গত ১৯ জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৯৫২ কোটি বা ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। আর ১২ জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন। চলতি মাসের মাসের শুরুতে ৫ জুন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন এবং নিট রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৬২ বিলিয়ন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ মাসে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে দেশের প্রবাসী আয়। যার প্রভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।
অপরদিকে বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ। আগামী দুদিনের মধ্যেই ১.১১৫ বিলিয়ন বা ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের। এ অর্থ যোগ হলে মোট রিজার্ভ প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফের দেয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি মিশন। তারা ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান তারা। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা ত্যাগ করে প্রতিনিধি দলটি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এর পর গত ১৬ ডিসেম্বর আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।