হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে। রোগী হাসপাতালে আসে সুস্থ হতে, নষ্ট-পঁচা খাবার খেয়ে যেন আরো অসুস্থ না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। এবং হাসপাতালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নে ডাক্তার ও কর্মচারীদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। ডাক্তারের একটু ভালো ব্যবহার রোগীদের দ্রুত সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হাসপাতালে সেবা নিতে আসা কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী।
আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অহেতুক এন্টিবায়োটিক ঔষুধ প্রেসক্রিপশন করা থেকে ডাক্তারদের বিরত থাকতে হবে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে রোগীর উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে। সরকারি ঔষধ বিনামূল্য বিতরণের জন্য হাসপাতালে দেওয়া হয়, এটি সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কিনা- তা মনিটরিং করতে হবে। একই সাথে যে ঔষধ প্রয়োজন নেই, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সে ঔষধের চাহিদা প্রেরণ না করার পরামর্শ দেন তিনি।
নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান কবির রাজু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমিন আরা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।