ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

চবির শাটলে পাওয়ার কার, ঝুঁকি এড়াতে রেলওয়ের ৪ শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১১, ২০২৪ ২:৫০ অপরাহ্ণ । ৩৫ জন

দীর্ঘ অপেক্ষার পর শাটলে পাওয়ার কার লাগানো হলেও এ নিয়ে শঙ্কার শেষ নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জুড়ে দিয়েছে ৪ টি শর্ত। বলছে, একটু হেরফের হলেই ঘটতে পারে জীবনহানিও।

এই প্রথম শাটল ট্রেনে চললো বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি। শিক্ষার্থীরা পেলো স্বস্তির নিঃশ্বাস। পূরণ হলো দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। তীব্র গরম কিংবা অসহ্য ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত নিয়ে অসংখ্য অভিযোগের পর অবশেষে একটি শাটলে পাওয়ার কারের ব্যবস্থা করলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন প্রতিটি বগিতেই চলছে পাখা ও বাতি।

তবে পাওয়ার কার লাগানোর এই সুসংবাদ একদিকে যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাসের কারণ অন্যদিকে এ নিয়ে রয়েছে তীব্র শঙ্কাও। শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চারটি শর্ত নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছে।

শর্তে জানানো হয়, সংযোজিত পাওয়ারকারে, ট্রেনের ছাদে, দুইটি কোচের সংযোগস্থল ও মেকানিক্যাল কাপলারে কোনো অবস্থাতেই কোনো শিক্ষার্থী ভ্রমণ করতে পারবে না। পাশাপাশি কাপলারের সংস্পর্শে এসে কোনো শিক্ষার্থী যেন বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা না ঘটায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়। শর্তের হেরফের হলেই ঘটতে পারে জীবনহানি।

রেলওয়ের দেয়া চারটি শর্ত জানিয়ে ঝুঁকির কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পর পাওয়ার কার শাটলে লাগানো হয়েছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের। তবে এ নিয়ে যথেষ্ট ভয়ও রয়েছে। রেলওয়ে চারটি বিষয় বিশেষভাবে জানিয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখা উচিত। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক অহিদুল আলম জানান, এটি ছাত্রদেরও দায়িত্ব। বহিরাগত কেউ কিংবা কোনো শিক্ষার্থী যেন ট্রেনের ছাদে বা পাওয়ার কার বগিতে ভ্রমণ না করে তা খেয়াল রাখা। কেউ এসব জায়গায় উঠলে তাকে সতর্ক করে সরিয়ে দিতে হবে। আর এ বিষয়ে প্রচারণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন দুইটি শাটলে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে।