ঢাকাসোমবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

“Chattogram Road Safety Report, 2020-2022” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ । ৩৪২ জন

মান্যবর সিএমপি কমিশনার জনাব কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের সভাপতিত্বে আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ নগরীর দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনে কক্ষে “Chattogram Road Safety Report, 2020-2022” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম শহরের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সড়ক দুর্ঘটনাজনিত ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা হ্রাসকল্পে করণীয় নির্ধারণে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে “Bloomberg Philanthropies Initiative for Global Road
Safety (BIGRS)” এর কারিগরি সহযোগিতায় বিজ্ঞানভিত্তিক এ গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়।

উক্ত গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয় “Chattogram Road Safety Report 2020 2022” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন।

২০২০-২০২২ সাল পর্যন্ত মহানগর পুলিশের রেকর্ডকৃত রোড ক্র্যাশের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদনে ক্র্যাশের ধরণ ও প্রবণতা এবং সেইসাথে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সবচেয়ে বেশি ক্র্যাশের তথ্য পাওয়া গেছে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাকলিয়া থানা। সাধারণত ধর্মীয় উৎসব, ঈদ- উল-ফিতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ছুটির সময় বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেখা গেছে। ২০২০-২২ সময়কালে রোড ক্র্যাশে মৃত্যুর ৮১ শতাংশই ছিলেন পুরুষ এবং তাদের অধিকাংশই ছিলেন ২০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী। অন্যদিকে ৩৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেশি। যদিও সব বয়সী পথচারীদের মৃত্যুর হার কাছাকাছি ছিল, তবে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ঝুঁকি বেশি বলে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৩৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী চালকরা বেশিরভাগ ক্র্যাশের জন্য দায়ী ছিলেন।

এছাড়াও নগরীর সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রতিবেদনটিতে শহরের ১০টি করে উচ্চ- ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং সড়ক চিহ্নিত করা হয়েছে এই গবেষণাটির মাধ্যমে।

উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব এম এ মাসুদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব আ স ম মাহতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ মহোদয়সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এবং চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম, বিআইজিআরএস-এর ঢাকা উত্তর সিটির ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর আব্দুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর জনাব লাবিব তাজওয়ান উৎসব, এনফোর্সমেন্ট কোঅর্ডিনেটর জনাব কাজী হেলাল উদ্দিন, সার্ভেইল্যান্স কোঅর্ডিনেটর জনাব কাজী সাইফুন নেওয়াজ, কমিউনিকেশন অফিসার জনাব মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও বিআরটিএ, বিআরটিসি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, সিআইপিআরবি, ব্র্যাক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।