কপ-২৮ শীর্ষক সম্মেলনের অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে কর্মকৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘কপ-২৮ পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। অনুষ্ঠানে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএস এফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ।
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ-এর কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৩৭টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ নভেম্বর ২০২৩ থেখে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের বিশ্বের ১৯৮ টি দেশের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ‘কপ-২৮’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী অভিযোজন, প্রশমন ও অর্থায়ন বিষয়ে সিদ্ধাত গৃহীত হয়। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি আগামি শতকে ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে ২০২৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জালানি তিনগুণ বাড়ানো ও কার্বন নিঃসরণকারী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়টি কপ-২৮ এ গুরুত্ব পায়। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য জীবাশ্ম জালানীর ব্যবহারকে প্রধানত দায়ী করা হয়ে থাকে। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার সব থেকে বেশি ব্যবহার করে উন্নত বিশ্ব তবে এর প্রভাব স্বপ্লোন্নত দেশগুলোর ওপর বেশি পড়ে। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠনের বিগত বছরের সিদ্ধান্ত কপ-২৮ এ চুড়ান্ত রূপ নেয়।
এ লক্ষ্যে উন্নত দেশগুলো উক্ত তহবিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। এ তহবিল হতে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ঝড়, বন্যা, খরা অথবা অন্য কোন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার বিষয়েও এ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে তাদের জোরালো মতামত তুলে ধরেন।