সিগারেটের মূল্য ও কর বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে সব ধরনের সিগারেটের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে তামাক আমদানিতেও কর হার বাড়ানো হয়েছে।
এ জন্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। এসব সংশোধনীসহ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়া সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে গতকাল বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ–সংক্রান্ত সংশোধিত খসড়া অধ্যাদেশের অনুমোদনের বিষয়টি বৈঠক শেষে জানানো হলেও ভ্যাটের বিষয়ে কী কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর সূত্রে কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে জানা গেছে।
কোন স্তরের সিগারেটের মূল্য ও কর হার কতো বাড়ানো হলো?
এনবিআর বলছে, ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে সিগারেট খাতে দাম ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। সম্পূরক শুল্ক দেড় শতাংশ হারে বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নিম্নস্তরের সিগারেটে ৫ টাকা ও উচ্চ, মধ্যম ও প্রিমিয়াম স্তরে ১০ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমানে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করা হচ্ছে। এতে সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
এছাড়া ১০ শলাকার প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা ও মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হচ্ছে।
তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হচ্ছে।
এছাড়া তামাক আমদানিতে কর বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ছয়মাসে সিগারেট খাত থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।