বাংলাদেশ রেলওয়েকে পুরোপুরি তামাকমুক্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন। একইসঙ্গে রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করতে কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জরুরি। পাশাপাশি বর্তমানে রেল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মীর আলমগীর হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৪) সকালে শ্রীলঙ্কার কলোম্বতে সাউথ এশিয়া টোবাকো কনট্রোল লিডারশীপ প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল ৯ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জন হপকিন্সের ইন্সটিটিউট অব গ্লোবাল টোব্যাকো কন্ট্রোলের উদ্যোগে শ্রীলংকার কলোম্বোতে চলছে সাউথ এশিয়া টোব্যাকো কন্ট্রোল লিডারশিপ প্রোগ্রাম শীর্ষক ৫ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ‘Smoke free policies Bangladesh : Railway initiatives’ শিরোনামে আলমগীর হোসেন বলেন, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইন সংশোধন করে রেলকে তামাক নিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী ট্রেনের ভেতরে সিগারেটসহ ধুমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রেলকে পুরোপুরি তামাকমুক্ত করতে চলমান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্য়ায়ের কাজ মার্চ ২০২৪ এ শুরু হয়েছে এবং চলবে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। রেলের যাত্রীদের স্মোক ফ্রি রাখার জন্য ট্রেনে ধূমপান বন্ধের পাশাপাশি প্লাটফর্ম এলাকায় সিগারেট বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ৪৫০টি স্টেশন রয়েছে এর মধ্যে ৫০ টি স্টেশনকে পুরোপুরি তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের কারণে ২০২৩ সালে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ অ্যাওয়ার্ড এবং WHO সাউথ এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়
লিডারশীপ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণের কর্মকান্ড তুলে ধরেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন।
চলমান এ অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের চিকিৎসক, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নিয়েছে। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২২ জন প্রতিনিধিত্ব করছেন।