ঢাকামঙ্গলবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

চেন্নাইয়ে মারা গেছে কমপক্ষে ৮ জন

অন্ধ্রের দিকে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ণ । ১৬৩ জন
জলে ডুবে যাওয়া চেন্নাইয়ের রাস্তাঘাট

তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে তাণ্ডব চালানোর পর শক্তি বাড়িয়ে আপাতত উত্তর দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। অভিমুখ দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। চেন্নাই শহরে কমপক্ষে আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়িয়ে আঘাত হানবে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনামের মাঝামাঝি বাপাটলা উপকূলের স্থলভাগে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। আঘাত হানার সময় এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার হতে পারে।

মিগজাউম-এর গতিপথ

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে শক্তি বাড়িয়েছে মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড় থেকে পরিণত হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এর প্রভাবেই দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূল জুড়ে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

মিগজাউমের প্রভাবে ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে চেন্নাই। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকাই এখন জলে ডুবে গেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাটগুলো পরিণত হয়েছে নদীতে। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বহু যানবাহন। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ, দেওয়াল এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বন্যার পানি ঢুকে কয়েকটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ।

অচল হয়ে পড়েছে মেট্রো স্টেশনগুলোও। অবিরাম বর্ষণের কারণে চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে শহরের বিরাট অঞ্চল। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বহু গাড়ি। বৃষ্টির কারণে চেন্নাই বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল প্লেন ওঠানামা। বাতিল হয়েছে চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেনও। বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেন্নাইয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি অফিসের কর্মীদেরও বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুর্গতদের সহায়তার জন্য অন্তত পাঁচ হাজার ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে।

অন্য দিকে মিগজাউমের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। এসব জেলায় টানা তিনদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে দুর্যোগের দাপট বেশি হবে না। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।