ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

আগুন আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফিয়ে ১২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ । ৮ জন

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের গুজবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে অন্তত ১২ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা লাফ দিলে অন্য একটি ট্রেনের বগির সঙ্গে ধাক্কা লেগে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তা দত্তাত্রয়া করালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, আহত আরও অন্তত ৬ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পারধাদে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুম্বাই ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবেও পরিচিত।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হতাহতরা পুষ্পক এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তবে কয়েকজন যাত্রী জরুরি চেন টানতে টানতে ট্রেনটি থামিয়েছিলেন।

রেলওয়ের মুখপাত্র স্বপ্নিল নীলা জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে যারা নেমেছিলেন তারা পাশের রেললাইনে থাকা অন্য একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা খেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য হলো- পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি কামরায় ‘হট অ্যাক্সেল’ বা ‘ব্রেক বাইন্ডিং’ (জ্যামিং) এর কারণে আগুন দেখা দিয়েছিল। এতে কিছু যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তারা শিকল টানেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন রেললাইনে ঝাঁপ দেন। রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেসময় কর্নাটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাশের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল।’

রেল নিরাপত্তার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ভারতের রেলপথে প্রতি বছর শত শত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিশ্বে এটি একক ব্যবস্থাপনায় বৃহত্তম ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা।

২০২৩ সালে পূর্ব ভারতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ২৮০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের অন্যতম মারাত্মক রেল দুর্ঘটনায় শত শত লোক আহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। ভারত ১৪২ কোটি মানুষ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে।