আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে আম বাজারজাতকরণ। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টায় শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার মহলদার আম্রকাননের বাদল মিয়ার আম বাগান থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে গাছ থেকে আম পেড়ে মৌসুমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহাসহ অন্য কর্মকর্তারা। পরে সেখানে আমচাষি ও বাগান মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাছ থেকে আম পেড়ে মৌসুমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহের পর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘জেলায় এবার ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। এ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছর দেড়শ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হবে।’
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘আমসমৃদ্ধ জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অন্যতম। এ জেলায় উৎপাদিত আমের সুখ্যাতি দেশজুড়ে। এ জন্য আমের সেই খ্যাতি ধরে রাখতে “ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার” প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জাতভেদে আম সংগ্রহ শুরু হবে। এ ছাড়া আমে কেউ যাতে কোনও ধরনের ক্ষতিকর দ্রব্য কিংবা ফরমালিন মেশাতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছে প্রশাসন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ আম ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৬ মে (বৃহস্পতিবার) আঁটি গুটি ও বোম্বাই আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর আগামী ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে ল্যাংড়া, ৭ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, আমচাষি কুদ্দুস মহলদার, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।