ঢাকাশনিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

আফ্রিকার নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের সংকট সমাধানে এফএওর ইওয়াট কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৯, ২০২৪ ১২:২৬ অপরাহ্ণ । ২৯ জন

কলার চিপস বানানোর একটি কারখানা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন ঘানার ৩০ বছর বয়সী নারী উদ্যোক্তা অগাস্টিনা টুফুর। লাভজনক ও সম্ভাবনাময় হওয়ায় অগাস্টিনার এ উদ্যোগ অল্পদিনেই ব্যবসাসফল হয়। তবে শুরুতে আর্থিক সংকটে তার ব্যবসা সম্প্রসারণে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। স্থানীয় একটি ব্যাংকে ঋণের আবেদন করলে তারা জামানত হিসেবে বড় অংকের অর্থ জমা রাখা এবং নিজ খরচে একজন পর্যবেক্ষক রাখার শর্ত দেয়। ওই ঋণের বিপরীতে সুদ চাওয়া হচ্ছিল ৩৬ শতাংশ। কঠিন এসব শর্তের কারণে ঋণের অর্থ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা তার জন্য ছিল অসম্ভব।

সাব সাহারান আফ্রিকার অনেক নারী উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতাই টুফুরের মতো। ব্যবসা পরিচালনায় জমি, আর্থিক বা প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পাওয়ার জন্য তাদের বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। অনেক সময় এসব সুবিধা পাওয়া তাদের জন্য অসম্ভব।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইসিটি) তথ্যানুযায়ী, আফ্রিকার ৭০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাই প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা পান না। ফলে তারা অনানুষ্ঠানিক খাত থেকে ঋণ নেন বা ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা পরিচালনা করেন।

তবে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার কৃষিজ বাণিজ্যের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবিকা উন্নয়নে ইওয়াট বলে একটি কর্মসূচি চালু করেছে। ছয়টি দেশের নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য উন্নয়ন, বিক্রি, বিপণন ও আর্থিক প্রস্তুতির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এরিয়ায় অংশগ্রহণে সহায়তা করার উদ্দেশ্যেই কর্মসূচিটি চালু করা হয়েছে।

আফ্রিকা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগাস্টিনা টুফুরের মতো সমস্যায় পড়েছিলেন নাইজেরিয়ান নারী উদ্যোক্তা আসমা বেগমও। পরে তিনি ইওয়াটের ফাইন্যান্সিয়াল রেডিনেস বুটক্যাম্পে অংশ নিয়ে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নেন। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি ব্যবসার পরিকল্পনা উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা পান।

কর্মসূচিটি শুধু প্রশিক্ষণ দেয় না, বরং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়। এফএওর সিনিয়র জেন্ডার অফিসার ক্লারা পার্ক বলেন, ‘এফএওর মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য নিরসন করা। এছাড়া স্থানীয় নারীদের নতুন বাজার ব্যবস্থায় প্রবেশ এবং তাদের আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে সংস্থাটি।’

খবরে বলা হয়, ইওয়াটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারী উদ্যোক্তারা কাঠামোগত বাধা অতিক্রম করে কৃষি খাতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন।