অনেকে সিগারেট ছাড়ার খোঁড়া যুক্তি হিসেবে ই-সিগারেট ধরেন। আবার অনেকে ই-সিগারেট থেকেই আসক্ত হয়ে পড়ছেন সাধরণ সিগারেটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ক্ষতি কম এমন ভুল বার্তা প্রচার করে তরুণদের আসক্ত করে তোলা হচ্ছে ই-সিগারেটে, যা পরবর্তীকালে অন্যান্য মাদকের প্রতি আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, ই-সিগারেটে ক্যান্সার উৎপাদনকারী রাসায়নিক, ফরমাল ডিহাইড এবং এসিটেল ডিহাইডের অস্তিত্ব আছে।
বর্তমান সময়ে তরুণদের ই-সিগারেট গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে ব্যাপক হারে। অনেকে সাধারণ সিগারেটের বিপরীতে হাতে তুলে নিয়েছেন ভ্যাপ। তাদের দাবি, সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ক্ষতি কম ই-সিগারেটে। বেঁচে যায় খরচও। এমন এক থেকে দুটি যুক্তিই অনেককে ই-সিগারেট হাতে তুলে নিতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার ও নিকোটিনে সমৃদ্ধ ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতি সূক্ষ্ম রাসায়নিক কণা, যা ভীষণ ক্ষতিকর। ই-সিগারেটে অস্তিত্ব আছে ক্যান্সার উৎপাদনকারী রাসায়নিক, ফরমাল ডিহাইড এবং এসিটেল ডিহাইডেরও। ই-সিগারেটের রাসায়নিক নিকোটিনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হতে পারে মৃত্যুর কারণও।
ডিভাইস নির্ভর ই-সিগারেটও নিকোটিন নির্ভর। আর তাই বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ব্যবহারে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৭১ শতাংশ, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৫৯ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া জাপানে পরিচালিত এক গবেষেণায় দেখা গেছে, ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের থেকেও ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর।