১৫ বছর শাসনের পর ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে অনেকটা হুট করেই ক্ষমতা থেকে পতত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের রাজনৈতিক এই পালাবদলের প্রভাব সরাসরি পড়েছে কলকাতার পাইকারি মাছ বাজারে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দের।
বুধবার (৭ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দ এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে দু’দেশের মাছ ব্যবসায়ীরা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সীমান্তে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। এর পাশাপাশি এবারের পুজায় পদ্মার ইলিশ পারের বাঙালির পাতে পড়বে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রায় এক মাস আগে ছাত্রদের চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেই সময় দু’দেশের সীমান্তে ট্রাক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে বাংলাদেশ থেকে মাছ ভর্তি ট্রাক হাওড়া মাছ বাজারে আসতে পারেনি। আবার একইভাবে ভারত থেকেও মাছের ট্রাক ওদেশে যেতে পারেনি। ফলে দু’দেশের ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। দিন দশেক আগে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ফের দু-দেশের মধ্যে মাছের আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৮ থেকে ১০ টি ট্রাকে প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন পাবদা , পারশে, ভেটকি, টেংরা, পমফ্রেট এবং অন্যান্য মাছ আমদানি হয়। আবার ভারত থেকে ১০ থেকে ১২ টি ট্রাকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন বোয়াল, রুই, কাতলা, ভেটকি, কাজরি এবং অন্যান্য মাছ বাংলাদেশে রপ্তানি হয়।