ঢাকামঙ্গলবার , ১১ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদে লেনদেন স্বাভাবিক রাখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১১, ২০২৪ ৩:২৯ অপরাহ্ণ । ৯৮ জন

ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রাহকের সুবিধার্থে ব্যাংকের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), অনলাইন-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সার্বক্ষণিক সচল থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট (পিএসডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটিএম, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), কিউআর কোড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করা, এটিএম বুথে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত সমাধান করা এবং পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বুথে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বুথ পরিদর্শন করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আর পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস) ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক পিওএস ও কিউআর কোড সেবা নিশ্চিত করা এবং জালজালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন করারও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। একই সঙ্গে এমএফএস সেবায় সব ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ব্যবস্থা ও এজেন্ট পর্যায়ে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ঈদের ছুটিকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহক হয়রানির শিকার রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন সহায়তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক, সকল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।