ঢাকাশুক্রবার , ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এলেই বাড়তে পারে ওষুধের খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৩১, ২০২৫ ৪:১৬ অপরাহ্ণ । ৮০ জন

উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার পর পেটেন্ট কেনার বাধ্যবাধকতায় বাড়তে পারে ওষুধের উৎপাদন খরচ। যার প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্য ব্যয়ে। সাধারণ মানুষের চাওয়া, নাগালের মধ্যেই যেন থাকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম।

বার্ধক্যজনিত ব্যথার চিকিৎসা নিতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসেছেন ৫৬ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, মুদি দোকান চালিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার সামলে স্বামী-স্ত্রীর দরকারি ওষুধ কিনতে মাসে গুনতে হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। তাই, ওষুধের দাম বাড়া নিয়ে থাকেন শঙ্কায়।

পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ যায় নিজের পকেট থেকে। যদিও উন্নত বিশ্বে এই ব্যয় মাত্র ১৭ শতাংশ, বাকিটা বহন করে সরকার।

স্বল্পন্নোত দেশ হওয়ায় নেই মেধাস্বত্ব আইনের বাধ্যবাধকতা। ফলে, ওষুধ তৈরির ফর্মুলা কিনতে হয় না বাংলাদেশকে। এতে কিছুটা বাঁচে উৎপাদন খরচ। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে এই সুবিধা থাকবে না। তখন পেটেন্ট কিনতে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। যার প্রভাবে বাড়তে পারে ওষুধের দাম।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গেল বছর, মেধাস্বত্ত্ব আইন থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত অব্যাহতির আবেদন করলেও তাতে সাড়া পায়নি বাংলাদেশ।

অবশ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিড বলছে, পেটেন্ট কিনতে হয় এমন ওষুধের সংখ্যা অনেক কম। তাই, সার্বিক ভাবে দাম বাড়ার শঙ্কা নেই।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-ডব্লিউটিওর সাবেক মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় ২৫ শতাংশ ওষুধ পেটেন্ট প্রতিরোধক। এসব ওষুধ দামি হয়।

ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফার্মাসিউরিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে সরকারি নীতি সহায়তার মাধ্যমে যাতে পেটেন্ট পণ্যগুলো আমরা দ্রুত সময়ে এখানে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমরা উৎপাদন কৌশল শিখে ফেলে পারবো।

র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ওষুধগুলো আমরা দেশে তৈরি করতে পারছি না, সেগুলো আমরা এখনও আমদানি করছি। পেটেন্ট কিনলেও আমরা ওইসব ওষুধ আমদানি করতে হবে।