ঢাকারবিবার , ১৮ আগস্ট ২০২৪

এমপক্স ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্ক অবস্থানে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৮, ২০২৪ ৩:১৩ অপরাহ্ণ । ৩৪ জন

নতুন ভাইরাস এমপক্স সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দেয়া হচ্ছে দেশে ঢোকার অনুমতি। সংক্রমণের মাধ্যম ও প্রতিরোধমূলক নির্দেশনার বিভিন্ন লিফলেট সাঁটানো হয়েছে যাত্রী প্রবেশ গেইটে। ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ সদস্যরাও। তবে সচেতন যাত্রীরা বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হলে সংক্রমণ রোধে করোনার মত এ ভাইরাসটিও মোকাবেলা সহজ হবে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ এ কার্যক্রম শুরু করেছে।

জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাব কাটতে না কাটতে এবার নতুন ভাইরাস এমপক্স ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্বকে। আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তান। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি যেকোনো ধরনের সংস্পর্শ বা যৌনমিলনের মাধ্যমে, ব্যবহার করা কাপড়, সুঁই বা অন্যান্য জিনিসপত্রের মাধ্যমে, আক্রান্ত প্রাণী শিকার করা, কাটা বা রান্না করার সময়, কম তাপমাত্রায় আক্রান্ত প্রাণীর রান্না করা মাংস খেলে এমনকি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের থেকে তাদের অনাগত শিশুর কাছেও ভাইরাসটি যেতে পারে।

এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

২০২২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সের নাম বদলে রাখে ‘এমপক্স’। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ হাজার মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১০০ জনের বেশি। আক্রান্ত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বড় অংশই শিশু।