ঢাকাশনিবার , ২২ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য

কর্মক্ষেত্রে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২২, ২০২৩ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ । ২০৬ জন

দেশে কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বেশি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়সসীমা ২০ থেকে ৪০ বছর। এই বয়সের বেশিরভাগই কর্মজীবী মানুষ এবং পুরুষ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী।

আজ শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আজ আমরা বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা কর্মস্থল থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি রোগীরা বলছেন, বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অলিগলিতে সিটি করপোরেশন মশার স্প্রে কম করছে, সেটা বাড়ানোর প্রয়োজন। এছাড়া বিভিন্ন অফিস এবং মিল কারখানাগুলোতে মশার স্প্রে তেমন হচ্ছে না, যে কারণে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

মন্ত্রী বলেন, এসবের ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তাদের বলবো আপনারা এ বিষয়ে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিন। সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব না আপনাদের বাসা বা অফিসে গিয়ে স্প্রে করা। তাই এ বিষয়ে আমাদেরও সচেতন হতে হবে।

মুগদা হাসপাতাল পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় মুগদা হাসপাতাল যথেষ্ট কাজ করছে। এখানে রোগীর সংখ্যাও তুলনামূলক বেশি। বর্তমানে প্রায় ৫০০ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। প্রতিদিন প্রায় ১০০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালটিতে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ডেঙ্গু রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৩ জন রোগী মারা গেছেন। হাসপাতালে ওষুধ থেকে শুরু করে কোনও কিছুরই কমতি নেই। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার স্যালাইন প্রয়োজন হয় এই হাসপাতালে। এখানে বর্তমানে আইসিইউ’র সংখ্যা ৫২টি। প্রতিদিন প্রায় হাজারের বেশি ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের সবকটি হাসপাতালে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার মধ্যে ঢাকাতেই আছে ৩ হাজার রোগী এবং ঢাকার বাইরে আড়াই হাজার। ঢাকা শহরে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর পরিমাণ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান প্রমুখ।