ঢাকাবুধবার , ৭ আগস্ট ২০২৪
  • অন্যান্য

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজি-উপদেষ্টাদের বিতাড়িত করছেন ব্যাংকাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৭, ২০২৪ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ । ৭১ জন

সরকার পতনের পর অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টাদের বিতাড়িত করেছেন সাধারণ ব্যাংকাররা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।

জানা যায়, ব্যাংক খাতে লুটপাট, দখল, অনৈতিক সুবিধা ও নানা অনিয়মের সহযোগিতা করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন সব কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ ব্যাংকাররা। এরা সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মকর্তারা ‌‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন। এতে প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা প্রথমে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের কক্ষে ঢুকে পড়েন এবং তাঁকে পদত্যাগে চাপ দেন। এ সময় কাজী ছাইদুর রহমান একটি সাদা কাগজে পদত্যাগের কথা লেখেন এবং স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান।

বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা–কর্মচারীরা এরপর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারের কক্ষে যান। ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার জানান, তিনি কার্যালয় ত্যাগ করছেন। বাকি দুই ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম ও মো. হাবিবুর রহমান কার্যালয়ে ছিলেন না। তবে কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, তাঁরা অফিসে আর আসবেন না। একইভাবে ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাসুদ বিশ্বাসও জানান, তাঁরা আর ব্যাংকে আসবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এই কর্মকর্তারা সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা তাঁদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এছাড়া দুজন চুক্তিভিত্তিক পলিসি এডভাইজারেরও পদত্যাগের দাবি জানান তারা।

এর আগে গতকাল অসুস্থতার নামে ব্যাংকে আসেননি গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার। বিকেলে তার দেশ ছাড়ারও গুঞ্জন উঠে। গর্ভনরের অনুপস্থিতিতে গতকাল সাংবাদিকদের ব্যাংকে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান। তবে আজ সাধারণ ব্যাংকারদের ক্ষোভে তিনি ব্যাংক থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন।