ঢাকাসোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহাসড়কে আলু ফেলে কৃষকদের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ১২:২২ অপরাহ্ণ । ৭ জন

গতবছর কোল্ড স্টোরেজে ৭০ কেজির আলুর বস্তা রাখার ভাড়া বাবদ ২৮০ টাকা খরচ করতে হয়েছে কৃষকদের। এ বছর তাদের একই পরিমাণ আলু রাখার জন্য খরচ দিতে হবে ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ গতবছর প্রতি কেজিতে ভাড়া ছিলো কেজিপ্রতি ৪ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে কেজিপ্রতি ভাড়া করা হয়েছে ৮টাকা বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ করেছেন রাজশাহী জেলার আলু চাষীরা। এসময় দাম কমিয়ে পূর্বের মূল্য রাখার জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে কৃষকরা।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলার সামনের মহাসড়কে আলু ফেলে তারা প্রতিবাদ করেন। এসময় অনেক কৃষককে আহাজারি করতেও দেখা গেছে।

এর আগে কৃষকরা বেলা ১১ টা থেকে মোহনপুর উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন।

কৃষকরা জানান, এবছর আলু চাষ করতে গিয়ে কয়েকগুণ উৎপাদন খরচ পড়েছে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপাদানের দাম গতবছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। এখন আবার কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।

কৃষকরা জানান, গতবছর কোল্ড স্টোরেজে ৭০ কেজির আলুর বস্তা রাখার ভাড়া বাবদ ২৮০ টাকা খরচ করতে হয়েছে কৃষকদের। এ বছর তাদের একই পরিমাণ আলু রাখার জন্য খরচ দিতে হবে ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ গতবছর প্রতি কেজিতে ভাড়া ছিলো কেজিপ্রতি ৪ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে কেজিপ্রতি ভাড়া করা হয়েছে ৮টাকা।

মোহনপুর মৌগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলু চাষী ইউনুস আলী বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভাড়া কমিয়ে পূর্বের ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে আমরা আবার আমাদের কর্মসূচি পালন করবো।

তিনি বলেন, আমি ১৮০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কেজিপ্রতি খরচ হয়েছে ২২ টাকা। এখন পাইকারি আলু কেজিপ্রতি ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমনিতেই কৃষকদের লোকসান হচ্ছে। সেখানে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক ও অনৈতিক। এটা কৃষকরা মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের টার্গেট হচ্ছে কৃষকরা আলু না রাখতে পারার কারণে দাম কমে গেলে তখন তারা কম দামে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখবে এবং পরে কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করবে। এটা কখনো হতে দেওয়া হবে না।

রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার আলু চাষী মো. লিমন আহমেদ বলেন, রাজশাহীতে ৩৬টি কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখা যায় ৯২ লাখ বস্তা। অর্থাৎ এক বস্তা আলু থেকে ২৮০ টাকা লাভ করলে তারা কৃষকদের কাছ থেকে এই মৌসুমে ২৫৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিবে। কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।