ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

খাদ্য মোড়কে সুস্পষ্টভাবে চিনি, লবণ ও ট্রান্সের তথ্য প্রর্দশন দেয়া জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ ২:২৭ অপরাহ্ণ । ৬১ জন

খাদ্য দ্রব্যের মোড়কে চিনি, লবণ, ট্রান্সফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ইত্যাদির মাত্রা সুপষ্টভাবে লেখা এবং ট্রাফি মার্কিং দেয়ার ব্যবস্থা দেয়া জরুরি। যাতে নিরক্ষন ত্রেতারাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য চিহ্নিত করতে পারে। দেশে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস কমাতে হলে বিদ্যমান খাদ্যের মোড়কে এ ধরনের তথ্য সন্নিবেশিত করা জরুরি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, বিএসটিআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে যৌথভাব এ লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

আজ মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এফেয়ার্স-সিএলপিএ, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাজেশন , পাবলিক হেলথ ল’ইয়ার্স নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ -র উদ্যোগে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কতা বাণীর প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

সভায় বলা হয়, অস্বাস্থ্যকর ও অপুষ্টিকর খাদ্য আজ সারা বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। এসডিজি-র লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু ৩০% কমিয়ে আনতে হবে। অতিরিক্ত চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারের অন্যতম প্রদান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য নিরুৎসাহিত করতে কর আরোপ, বিজ্ঞাপন বন্ধ, লেবেলিং এবং প্যাকেজিং ব্যবস্থা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।

সভায় বক্তারা বলেন, মোড়কজাত বিধিমালায় মোড়কে সতর্কতাবাণী সুস্পষ্ট ভাবে থাকতে হবে । চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাদ্য দ্রব্যের মোড়কে সতর্কতাবাণী থাকতে হবে । খাদ্য দ্রব্যে কোন পণ্যের মাত্রা কতটুকু হবে, কিভাবে হবে এবং কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে তা সুস্পষ্ট করা জরুরি। এছাড়া এসকল বিধান বাস্তবায়নে নিয়মিত মনিটরিং, সমন্বয় এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন , অধ্যাপক ডাঃ এম মোস্তফা জামান, জনস্বাস্থ্য ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, নির্বাহী সম্পাদক, বিএসএমএমইউ জার্নাল, মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, কান্ট্রি লীড, গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসী ইনকিউবেটর. অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আতিকুল হক, পিএইচডি, ডিন, প্রতিরোধমূলক ও সামাজিক চিকিৎসা অনুষদ, চেয়ারম্যান, জনস্বাস্থ্য ও তথ্যবিদ্যা বিভাগ, প্রধান চিকিৎসা পরিসংখ্যান, বিএসএমএমইউ, মোঃ ওয়াহিদুজজামান, সদস্য (আইন ও নীতি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, প্রকৌশল মো: আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক, বিএসটিআই, ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, জনস্বাস্থ্য বিশেষ্ণগ, ব্যারিষ্টার নিশাত মাহমুদ, সদস্য-সচিব, পাবলিক হেলথ ল-ইয়ার্স নেটওয়ার্ক, ইকরাম আহমেদ, সমন্বয়, ক্যাব, গাউস পিয়ারী মুক্তি- পরিচালক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পলাশ চন্দ্র বনিক, সহযোগী অধ্যাপক, বিইউএসএইচ, মিস রাই, সুস্বাস্থ্য প্রকল্প, জাইকা, আতিয়া সুলতানা, উপ-পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ডাঃ সৈয়দ এমদাদুল হক, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউআরবি, ডাঃ উম্মে আফরোজা, সিনিয়র প্রোগাম অফিসার, হার্ট ফাউন্ডেশন, সুশান্ত সিনহা-একাত্তর ফাউন্ডেশন, শিমা দাস শিমু, পরিচালক, উবিনীগ, ফারহানা জামান লিজা, সহকারী গবেষক, ডিআইইউ, রিয়াজ খন্দকার, পরিচালক, গ্রাম বাংলা, জনাব রিজিওয়ান, জনস্বাস্থ্য গবেষক, এস এম সৈকত, নির্বাহী পরিচালক, সিরাক বাংলাদেশ, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, জনসাস্থ্য ও আইন বিশেষঙ্গ, সিএলপিএ, কামরুন্নিছা মুন্না, পলিসি অ্যানালিস্ট, সিএলপিএ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিগণ ।