টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জে রোপা আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২৪০০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। রোপা আমান মৌসুমে কৃষক প্রতি ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার ৫ উপজেলার প্রাণিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এসব বীজ ও সার দিয়ে জেলার ২৪০০ কৃষক ২৪০০ বিঘা জমি চাষাবাদ করে রোপা আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকরে মধ্যে ২৭৫০ কেজি ধানবীজ, ৫৫০০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫৫০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলায় ৪৮০ জন কৃষকের মধ্যে ২৪০০ কেজি ধান বীজ, ৪৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪৮০০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলায় ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে ২৩৫০ কেজি ধানের বীজ, ৪৭০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪৭০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলায় ৫০০ জন কৃষকের মধ্যে ২৫০০ কেজি ধান বীজ, ৫০০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫০০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪০০ জন কৃষক পেয়েছেন ২০০০ কেজি ধান বীজ, ৪০০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪০০০ কেজি এমওপি সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে জেলার ২৪০০ কৃষক ২৪০০ বিঘা জমিতে রোপা আমান ধানের আবাদ করবেন। এতে জেলায় আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব বীজ পেয়ে কৃষক বীজতলা তৈরী করেছে। কয়েক দিনের মধ্যে এ সদর উপজেলায় আমন আবাদের ধূম পরবে।