ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভোলায় কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া হালকা বাতাসও বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পানি। স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে স্রোতের ঢেউ। তবে এখনো কোথাও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার বিচ্ছিন্ন ১১টি চরের ৫৭ হাজার ৫৭২ মানুষ।
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরের বাসিন্দা মো. মোসলেউদ্দিন ও মিতু বেগম জানান, তারা শুনেছেন একটি ঝড় আসছে। সেটি নিয়ে তারা কিছুটা চিন্তিত। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি হলে তারা গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেবেন।
ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি মেঘনা নদীর তীরে বসবাস করা মো. ইউনুছ ও মো. রাসেল জানান, প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় হয়। মানুষের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাইনি। এবারো বাড়ি-ঘর ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি। তবে ঝড় বেশি হলে আবশ্যই যাবো।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় ভোলার সাত উপজেলায় ৮৬৯টি সাইক্লোন শেল্টার, ১৪টি মাটির কিল্লা, ৯৮টি মেডিকেল টিম, ৮টি কন্ট্রোল রুম, ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি সদস্য, নগদ ৯ লাখ ১৭ হাজর ৫০০ টাকা, ৫৮৪ মেট্রিক টন চাল, শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা, ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও গো খাদ্যের জন্য নগদ ৫ লাখ রয়েছে। এছাড়াও যেসব চরাঞ্চলে মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য আমরা ট্রলার প্রস্তুত রেখেছি।