সময় অতি মুল্যবান। একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। এই মুল্যবান সময়কে হিসাবে রাখার জন্য আবিষ্কার হয় ঘড়ির। আবিস্কারের প্রথমদিকে এর দাম ছিলো আকাশচুম্বি। সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকা এই ঘড়ির দাম ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে শুরু হয় এর বহুল ব্যবহার। কালের বিবর্তনে মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের ফলে কমিয়ে দেয় ঘড়ির ব্যবহার। এখন অনেকই আর কেউ সময় দেখার জন্য ঘড়ি ব্যবহার করে না। তবে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে অনেকে ঘড়ি পরতে পছন্দ করেন। এজন্য ঘড়ির বাজারের এসেছে বৈচিত্র্য। এরকম ফ্যাশনেবল বিশ্বের সবচেয়ে দামি কয়েকটি ঘড়ির আদ্যোপান্ত নিয়েই আজকের আয়োজন।
১) গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন (Graff Diamonds Hallucination) : বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ির নাম গ্রাফ ডায়মন্ডসের হ্যালুসিনেশন। এতে বিভিন্ন রং ও কাটের ১১০ ক্যারেটের হীরা রয়েছে। এটি একটি প্ল্যাটিনাম ব্রেসলেটে শোভিত। এই ঘড়িটির বর্তমান মূল্য ৪০১০ কোটি টাকা/রুপি।
২) গ্রাফ ডায়মন্ডস দ্য ফ্যাসিনেশন (Graff Diamonds The Fascination) : এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডসের দ্য ফ্যাশিনেশন নামক ঘড়িটি। এই ঘড়িটির দাম হলো ২৯১২ কোটি টাকা/রুপি। এই ঘড়িতে ১৫২.৯৬ ক্যারেটের সাদা হীরা খোদাই করা রয়েছে। এটার মাঝের হীরাটির ৩৮.১৮ ক্যারেট ডি নিখুঁত নাশিপতি আকৃতির।
৩) ব্রেগুয়েট নং ১৬০ (Breguet No 160) : বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে দামি ঘড়ি হলো এটি। এর দাম ২১৮৪ কোটি টাকা/রুপি। এটি একটি প্রাচীন ঘড়ি। এটি তৈরি করতে প্রায় ৪০ বছর সময় লেগেছিল। এর প্রথমটি করা হয়েছিলো মেরি অ্যানটোটেন নামক এক নারীর প্রেমিকের জন্য।
৪) চোপার্ড 201-ক্যারেট(Chopard 201-Carat) : বিশ্বের চতুর্থ সবচেয়ে দামি ঘড়ি হল চোপার্ড ২০১-ক্যারেট। এর খরচ ১৮২০ কোটি টাকা/রুপি। এতে ৮৪৭ টি হীরা খোদাই করা রয়েছে যার সবগুলো ২০১ ক্যারেটের।
৫) পাটেক ফিলিপ সুপারকম্পিলিকেশন (Patek Philippe supercomplication : পাঁচ নম্বরে আছেন পাটেক ফিলিপ সুপার কম্পিলিকেশন । এর দাম ১৭৬৪ কোটি টাকা/রুপি। ১৯৩৩ সালে পাটেক ফিলিপ এই সোনার ঘড়িটি তেরি করেন ব্যাংকার হেনরি গ্রেভেস জুনিয়র এর জন্য।
৬) জ্যাকব এন্ড কো বিলিনিয়ার ঘড়ি ( Jacob and Co. Billinaire Watch): এই ঘড়িতে ১৬৭টি হীরা আছে যেগুলো ২৬০ ক্যারেটের। এছাড়ার এই ঘড়িতে ১৯ টি রত্ম আছে। এর বর্তমান বাজার মূল্য ১৩২০ কোটি রুপি/টাকা।