ঢাকাসোমবার , ১৭ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য

‘চলমান সংকটে নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৭, ২০২৩ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ । ২২০ জন

দেশের মানুষের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিকভাবে তত্পর থাকতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করতে না পারলে আমাদের পরনির্ভরশীলতা তৈরি হবে যা কখনোই কাম্য নয়। বিশ্বব্যাপি চলমান সংকটে নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। অধিক ফলনের জন্য যে এলাকায় যে জাত চাষের পরামর্শ বিজ্ঞানীরা দিয়েছে সে জাত চাষ করতে হবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত “ময়মনসিংহ অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালায় ব্রির মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচালক (সরেজমিন উইং) এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মীর্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। ড. মো. খালেকুজ্জামান, পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। ড. মো. আব্দুল লতিফ, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক গবেষণা ড. মোঃ আব্দুল মালেক।

ব্রির সিনিয়র লিয়াজোঁ অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল মোমিন এর সঞ্চালনায় এই আঞ্চলিক কর্মশালায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. মোঃ ইব্রাহীম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান, রাইস ফার্মিং ‍সিস্টেমস বিভাগ, ব্রি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন–কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজেআরআই, বিএসআরআই, বারটানসহ নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমুহের বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালকগণ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অত্র অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালকগন ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর ময়মনসিংহ অঞ্চলের চার জেলার জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অত্র অঞ্চলের বীজ, সার ও বালাইনাশক ডিলার, বীজ উৎপানকারী, এনজিওপ্রতিনিধি ও কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক অংশীজন অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ড. মো. আব্দুল লতিফ।
কর্মশালায় কৃষক প্রতিনিধি, বীজ উৎপাদক ও ডিলার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা মুক্ত আলোচনা অংশ নেন।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, গবেষণা সম্প্রসারণ সংযোগ বাড়াতে এই আঞ্চলিক কর্মশালা ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই আলোচনা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণ মাঠে প্রয়োগ করা গেলে ফলন অবশ্যই বাড়বে।

কর্মশালার সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণের ফলপ্রসূ সংযোগের মাধ্যমে আমরা চালের উৎপাদন ১৯৭১ সালের এককোটি টন থেকে ২০২৩ সালে এসে চার কোটি টনে উন্নীত করতে পেরেছি এটা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসামান্য অর্জন।