ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েক শ কল আছে, তারা (ব্যবসায়ীরা) জোটবদ্ধ হয়, এর পর ডিম ও ব্রয়লার মুরগির মতো এসএমএসের মাধ্যমে গোটা চালের বাজারটিকে অস্থির করে দেয়া হয়।’
এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র এসএমএসের মাধ্যমে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির মতো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে পুরো বাজারকে অস্থির করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েক শ কল আছে, তারা (ব্যবসায়ীরা) জোটবদ্ধ হয়, এর পর ডিম ও ব্রয়লার মুরগির মতো এসএমএসের মাধ্যমে গোটা চালের বাজারটিকে অস্থির করে দেয়া হয়।’
বরিশাল নগরীর ফরিয়াপট্টি ও চকবাজার এলাকার পাইকারি বাজার পরিদর্শন শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এটা যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যক্রম নেব। অর্থাৎ জোটবদ্ধ হওয়া কিংবা একজনে দাম বাড়িয়েছে দেখে বাকিরাও দাম বাড়াবে, এই জিনিসগুলোকে বন্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সুযোগ নিয়ে ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে কতিপয় ক্ষুদ্র কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করেছে- আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে, আর এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের।’
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশে ধানের দাম বেড়েছে- এমন প্রচার করেছে একটি চক্র। ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে, সেই চালটা তো দুই মাস পরে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে বাজারে আসবে, কিন্তু এখন ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে চার টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
‘কিন্তু বাজারের বর্তমান চালের ধানটা আগে কিনে মাড়াই করে বিভিন্ন জায়গায় স্টক করে রাখা। বর্তমানে কস্টিংয়ের কোনো ডিফারেন্সও হওয়ার কথা না। কারণ ট্রাক ভাড়া, দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন বাড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘বরিশালে তেমন কোনো ব্যত্যয় পাওয়া যায়নি। তারা যে দামে চাল কিনছে, তার ওপর সামান্য লাভ করেই বিক্রি করছে।’
এ সময় আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল, চিনি, তেলসহ রমজানের পণ্য নিয়ে যাতে কারসাজি না করতে পারে সে জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করছে বলে জানান তিনি।