কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জমি কমছে, পানির উৎসও কমে যাচ্ছে। মাটির গুণাগুণও হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে। । বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার জোগাড় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ আগে খাবার পেতো না, ভাত পেতো না। দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বারবার। ২০০৪-০৫ সালে উত্তরাঞ্চলে আমি দেখেছি মানুষের হাড্ডিসার চেহারা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন খাদ্যাভাব নেই, খাদ্যের কষ্ট আর নেই।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এবারে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’।
তিনি বলেন, মাটি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে প্রায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত। প্রায় ৩০ লক্ষ হেক্টর জমি উপকূলীয়। লবণাক্ত জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সব ফসলে উদ্বৃত্ত হওয়া যাবে। উন্নত জাতের ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে চালে উদ্বৃত্ত হওয়া সম্ভব।
পরে মন্ত্রী সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং ‘ল্যান্ড অ্যান্ড সয়েল রিসোর্সেস ইউটিলাইজেশন গাইড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, পানি ও মৃত্তিকা সম্পদের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে পানি ও মাটি আজ অবক্ষয়ের সম্মুখীন। ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও মাটির অবক্ষয় রোধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।