ঢাকাশনিবার , ১৩ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহায়তা কামনা পরিবেশমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৩, ২০২৪ ২:৫৭ অপরাহ্ণ । ৩৪ জন

উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষকরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর চাহিদার প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ এবং হিমবাহ গলনের মতো বিষয়গুলো অস্তিত্বের সংকট। এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মুহাম্মদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের ক্ষেত্রে এর দৃঢ় অগ্রগতি সতর্কতা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদাহরণ। দেশের দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং সহিষ্ণুতা অন্যান্য জাতির জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।

বৈঠকে উপ-মহাসচিব এবং মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব, চলমান সংঘাত এবং অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এই বাধা অতিক্রম করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবেলা করতে এবং তাদের সবুজ পরিবর্তনকে সমর্থন এবং আরও তহবিল সুরক্ষিত করার জন্য জলবায়ু আলোচনায়, বিশেষকরে কনফারেন্স অফ পার্টিগুলোতে কীভাবে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বরকে প্রসারিত করা যায় তাও তারা আলোচনা করেন।

এরআগে সাবের হোসেন চৌধুরী জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এডমিনিস্ট্রেটর আচিম স্টেইনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।

স্টেইনার বাংলাদেশের নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে তার জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে ইউএনডিপির অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।

এসময় সাবের হোসেন চৌধুরী টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের অফিসের (ইউএনওএসডি) প্রধান চুন কিও পার্কের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন এবং প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসঅহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।