ঢাকাশুক্রবার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

জলবায়ু ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সঠিক নীতিমালা বাস্তবায়ন হয় না : কাজী খলীকুজ্জমান

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২২, ২০২৩ ১০:০৪ অপরাহ্ণ । ১৫৩ জন

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এবং ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক সময়ই সঠিক নীতিমালা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি— যাদের দায়িত্ব পালনের কথা, তারা তাদের কাজ করছেন না বলে অন্য মন্ত্রণালয়, অন্য সংস্থা দিয়ে কাজটি করানো হচ্ছে। ফলে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের অনেক সমস্যা আছে। এসব সমস্যা সমাধান করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, কৃষি, শিল্প, পশু, মাছ উৎপাদনের সঙ্গে বিশেষ করে পানি ও ভূমির সম্পৃক্ততা রয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর বিপণন কীভাবে হবে এবং সবার হাতে খাদ্য পৌঁছে দিতে হলে একটি লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

গতকাল ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই কৃষি ও স্থায়ীত্বশীল খাদ্য ব্যবস্থাপনা : ২৮তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত দিকনির্দেশনা ও বাংলাদেশের বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে তাদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করতে পারব তা নিশ্চিত করতে হবে। যেসব মানুষের সামর্থ্য নেই তাদের কম মূল্যে বা বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করাটা সমস্যার সমাধান নয়। খাদ্যের উৎপাদন ও বিপণন টেকসই ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা কীভাবে কাজ করবে, এটা নিশ্চিত করতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক গবেষণা পরিচালক ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এম আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের এখানে শিল্পভিত্তিক মৎস্যখাতের ব্যাপ্তি ঘটেছে। এসকল ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হিসেবে বহুল আলোচিত।

ড. রেজাউল করিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে পরবর্তী ২ বছরের মধ্যে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী কৃষির জন্য ফান্ড তৈরি করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে কতটুকু নিতে পারবে সেটা এখন বিবেচনার বিষয়।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম. জাকির হোসেন খান বলেন, আমাদের কৃষিজ সরঞ্জামাদি চলে যাচ্ছে কর্পোরেটদের হাতে। বিশেষ করে বীজ। উৎপাদনে খরচ কম হওয়াতে আমাদের কৃষক ধানে না গিয়ে গম এবং যব আবাদের দিকে যাচ্ছে। কমিউনিটিভিত্তিক স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা করতে হবে।

ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষকের যে ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে যদি আর্থিক সহায়তা না দেওয়া হয় তাহলে কৃষক আর কৃষিতে ফিরতে আগ্রহ পাবে না।

এছাড়াও সেমিনারে অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. রেজাউল করিম, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ফেলো ড. আজরীন করিম। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর সুশাসন, অধিকার ও ন্যায্যতা কর্মসূচির উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা।