ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ কপ-২৮ সম্মেলনে প্রশংসিত হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ ৮:২৫ অপরাহ্ণ । ১৪২ জন

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮এ দেশের অর্জন নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন। ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মন্ত্রী এ মতবিনিময় করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কপ-২৮ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন, তিনি সেখানে যেতে পারেননি, তার পক্ষ থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছি সেগুলো সেখানে প্রশংসিত হয়েছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি (জিসিসিএম) যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার এওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও আইওএমের ডিরেক্টর জেনারেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশকে স্থানীয় অভিযোজনে সাফল্যের জন্য ‘গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশন এওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার হলেও যেভাবে এই জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করে এসেছে সেগুলো বিশ্বব্যাপী সবসময় প্রশংসিত হয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ এওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কপ-২৮ সম্মেলনের অন্যতম প্রধান অগ্রগতি হচ্ছে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ গঠন করা, যেটি আগে ছিলো না। এবং এই সম্মেলনে সবাই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার বিষয়ে একযোগে একমত হয়েছে।’

এ সময় নগর পরিকল্পনায় প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ নিয়ে করা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ ঘটিয়ে তোলা হয়নি। সে কারণে নগরগুলো ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উদ্যোগ একা গ্রহণ করেছেন। সে উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অনেকগুলো খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, খাল খননের সাথে যুক্তদের চেয়েও অনেক শক্তিশালী হচ্ছে খাল দখলকারীরা। এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। অবশ্যই প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ ঘটিয়েই নগর পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। শুধু নগর পরিকল্পনা নয়, যে-কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ ঘটিয়ে করা প্রয়োজন।