ঢাকামঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

ঝিনাইদহে বাড়ছে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ ৩:৪৫ অপরাহ্ণ । ৭ জন

পৌষের আগে অগ্রহায়ণের শুরুতে শীতের হাঁকডাক বেড়েছে ঝিনাইদহে। বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডায় শিশুরা জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যার ফলে জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ, শিশু হাসপাতাল ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর-আউটডোরে প্রতিদিনই শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের ভিড় বাড়ছে।

রোববার (২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নিউমোনিয়া ও ঠান্ডা-জ্বর নিয়ে ভর্তি আছেন ১২০ জন রোগী। গত ১ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৮৫ জন শিশু। গত ১ মাসে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, নভেম্বরের শুরু হতে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় শিশুদের পাশা-পশি বয়বৃদ্ধরাও নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই হামপাতালের আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বয়োবৃদ্ধ ও শিশুসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬৫ জন ও ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮০ জন রোগী ভর্তি আছেন।

এ বিষয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে শিশুদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে নভেম্বর ডিসেম্বরে এ সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমে যায়। আমরা নিয়মিত চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছি।

শিশুদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য তিনি আরো বলেন, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। মকলকে সচেতন থাকতে হবে। সন্ধ্যার পর বাড়ির বাহিরে গেলে শিশুকে মাস্ক পরাতে হবে। শিশুকে কোলে নেওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে দুই হাত ভালো মতো ধুঁয়ে নিতে হবে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা জাকির হোসেন জানান, প্রতিবছর শীতের প্রথমে বয়বৃদ্ধদের এ্যাজমা, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এই সময়টাতে ফ্রিজের পানি ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব।

শিশু হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আলী হাসান ফরিদ (জামিল) বলেন, শীতজনিত রোগ থেকে শিশুর সুরক্ষায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। শিশুর পোশাক, শোবার ঘর ও খাবার খাওয়ার পাত্রগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।