ঢাকাবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

ঠাণ্ডাজনিত শিশুরোগীর চাপ ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ৮:১০ অপরাহ্ণ । ১২৫ জন

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরোগীদের চাপ। ওই অঞ্চলে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বরসহ ডায়রিয়ার প্রকোপ। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে ওষুধ, স্যালাইন ও শয্যাসংকট। এতে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

২৭ ডিসেম্বর বুধবার দৈনিক আজকের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা ৪৫টি। বর্তমানে শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে ১৮৫ জন শিশু। তাদের মধ্যে অন্তত ৭১ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

এছাড়া গত মাসে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে প্রিম্যাচিউরড বা ওজনে কম থাকা নবজাতক ও অপরিপক্ব শিশু রয়েছে আটজন, যাদের বয়স এক থেকে দুই দিন। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুজন, হার্টের সমস্যা নিয়ে একজন, খিঁচুনিসহ জ্বর নিয়ে একজন শিশুর মৃত্যু হয়।

সংবাদে জানানো হয়েছে, শিশু ওয়ার্ডের শয্যাগুলোর একটিও ফাঁকা নেই। কোনো কোনো শয্যায় একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা চলছে। বেশিরভাগ শিশুই নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত। শয্যার ব্যবস্থা না থাকায় অনেক শিশুকে মেঝেতে রেখে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স শিল্পী আখতার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘১৫ নার্স ও তিনজন চিকিৎসক দিয়ে দৈনিক প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ জন ভর্তি থাকা শিশু-রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে ১০০ জনের ওপর নতুন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।’ বিপুলসংখ্যক রোগী সামাল দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে হলে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি ধুলোবালি এড়িয়ে চলতে হবে। আর প্রয়োজনীয় সব টিকা দিতে হবে। সেই সাথে শিশুর শরীর ঘামলে তা মুছিয়ে দেওয়া এবং যাতে ঠাণ্ডা না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।