দেশে ধোঁয়াযুক্ত তামাক ব্যবহারকারী এক কোটি ৯২ লক্ষ এবং ধোঁয়ামুক্ত তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লক্ষ ব্যক্তি। দেশে প্রতিবছর এক লক্ষ ৬১ হাজার ব্যক্তির প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। তবে দেশে তামাকের ব্যবহার কমছে, ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারীর শতকরা হার ৩০ শতাংশ থাকলেও ২০২২ সালে কমে হয়েছে ১৭.৬ শতাংশ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নির্মূলে আমরা সক্ষম হবো বলে জানিয়েছে বক্তারা।
আজ (২৭ জুন) বৃহস্পতিবার নাটোরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবিব। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, দেশে ধোঁয়াযুক্ত তামাক ব্যবহারকারী এক কোটি ৯২ লক্ষ এবং ধোঁয়ামুক্ত তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লক্ষ ব্যক্তি। দেশে প্রতিবছর এক লক্ষ ৬১ হাজার ব্যক্তির প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। তামাকে সাত হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে। তামাক ব্যবহারে ষ্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কন্ঠনালীর ক্যান্সার এবং ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ আশংকা থাকে।
তবে দেশে তামাকের ব্যবহার কমছে। ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারীর শতকরা হার ৩০ শতাংশ থাকলেও ২০২২ সালে কমে হয়েছে ১৭.৬ শতাংশ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নির্মূলে আমরা সক্ষম হবো। এ লক্ষ্যে ২০০৫ সালে প্রণীত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনকে তৃতীয়বারের মত সংশোধনীর মাধ্যমে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিধিমালাও জারি করা হয়েছে। এছাড়া কিশোর ধূমপান আইন-১৯১৯ দেশে বহাল রয়েছে।