ঢাকারবিবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

নির্বাচনী ইশতেহারে সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির দাবি

নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পরিবেশবান্ধব টেকসই বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ ৬:০৫ অপরাহ্ণ । ১৪৬ জন

পরিবেশবান্ধব টেকসই বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষায় পরিবেশবান্ধব টেকসই বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না করলে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ উত্থাপন করা হয়৷রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে এসব সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান বক্তারা।

গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানীর আদাবরে কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবানপুওর (কাপ) মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারা। দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), বারসিক, কাপ ও ইনসাইট্স আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল হকের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, পিপুলস হেলথ মুভমেন্ট-এর সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, বারসিকের ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, সাংবাদিক গাজী শাহনেওয়াজ, হাবিবুর রহমান, সাইফুল মাসুম, শফিকুল ইসলাম ও জাহিদা পারভেজ ছন্দা এবং বস্তিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধি ফাতেমা আক্তার ও হান্নান আকন্দ। মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন ডিএসকে কনর্সোটিয়ামের কোর্ডিনেটর মো. রকিবুল ইসলাম।

সভায় উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, সকল নগরবাসীর (প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য গোষ্ঠী) সমান সুযোগ ও অধিকার সমুন্নত রেখে, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নে পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরকরণ, চলমান অর্থনীতি (সার্কুলার ইকোনমি) প্রবর্তন এবং টেকসই ও মানসম্পন্ন নগর বর্জ্য-ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে। কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন টেকসই বর্জ্য-ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, ডিজিটাল মনিটরিং ও তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।