রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় তিনি বলেন, ‘রোড কানেক্টিভিটি, ইলেকট্রিক বাস একটা বিষয় আছে। আর আমাদের যেগুলো চলমান প্রকল্প ভারতের সঙ্গে যেগুলো এলওসি-তে চলছে, সেগুলোর অগ্রগতি এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা কীভাবে অংশ নিতে পারে, শেয়ার করতে পারে- সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে।’
রাজনীতি নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কতগুলো বিষয় নিয়ে অভিন্ন মত তো আমাদের মধ্যে আছে। কমিউনালিজম, ক্রস বর্ডার টেরোরিজম- এ সকল বিষয় সবসময় আমাদের দ্বিপাক্ষিক অবস্থান জোরালো থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়া দরকার। সেই সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা উভয় পক্ষই একমত।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত আমাদের সঙ্গে সৎ প্রতিবেশিমূলক আচরণ করেছে। যেটা প্রয়োজন ছিল। এদেশের কিছু কিছু অপজিশন, তারা কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে নির্বাচনটাকে ভন্ডুল করতে চেয়েছিল। তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে কথা তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে।’
একুশ বছর ভারতের সঙ্গে আমাদের শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক ছিল দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়ালটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন।’
নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, এখনো কি সেভাবে আছে, আগামীতে কি সেভাবে থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যৎ বলবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ আমি দেখছি না।’