পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, উন্নত দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশে গ্রিনহাইজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বাড়বে তাই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা সীমিত রাখতে আমাদের কাজ করতে হবে। বিশেষ করে NDC-তে উল্লিখিত প্রশমনমূলক কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে। সকলে মিলে জলবায়ু প্রশমণ ও অভিযোজন মূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হবে।
আজ বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশঃ ফার্স্ট বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট টু দ্যা ইউএনএফসিসি’ শীর্ষক প্রকল্পের চূড়ান্ত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০ জুন ২০২৩ এর মধ্যে UNFCCC তে দাখিল করার জন্য ‘বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট’ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই দলিলে, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সামগ্রিক চিত্র, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সময়ের জাতীয় গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ইনভেন্টরি এবং প্রশমন কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। খসড়া ‘বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট’ অনুযায়ী, ২০১২ সালের ০.৯৮ টন কার্বন ডাই অক্সাইড ইকুইভ্যালেন্ট এর সমতুল্য থেকে ২০১৯ সালে মাথাপিছু নির্গমণ ৩১.৪৮ শতাংশ বেড়ে ১.২৯ টন কার্বন ডাই অক্সাইড ইকুইভ্যালেন্ট এর সমতুল্য হয়েছে। যা বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি স্বাভাবিক নির্গমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতি নির্দেশ করে। তা সত্ত্বেও, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, বাইএনিয়াল আপডেট রিপোর্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি পূরণে বাংলাদেশের অগ্রগতির পাশাপাশি সরকারের অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করবে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের কার্যকারিতা মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য এবং কার্যকর জলবায়ু নীতি গ্রহণে রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, গেস্ট অব অনার ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ কৃষ্ণা রাজ অধিকারী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার প্রতিনিধিবর্গ; উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।