পদ্মায় পানি বাড়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার দুটি ও পাটুরিয়ার একটি ঘাটে ফেরি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির মূল কারণ হতে পারে এই নৌ-রুটের তিনটি ঘাট। যদিও ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে ঈদযাত্রায় তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। আর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ঘাটের নিরাপত্তায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর পানি। যার প্রভাব পড়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। পানিতে তলিয়ে গেছে দৌলতদিয়ার ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট এবং পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌ-রুট দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়। ঈদে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েক গুণ। যাত্রী ও চালকরা বলছেন, এখনই জোরালো পদক্ষেপ না নিলে ঈদ যাত্রায় এই ঘাট তিনটি ভোগান্তির কারণ হবে।
ফেরির চালক জানান, ফেরি ঘাটে ভিড়লেও পানির কারণে ঠিকভাবে গাড়ি নামতে পারছে না। অনেক সময় অপেক্ষা করে নামতে হচ্ছে যানগুলোর।
অন্যদিকে যাত্রীরা বলছেন, ঈদের সময়ে আরও চাপ বাড়লে এবং ওঠা-নামায় অতিরিক্ত সময় লাগলে ভোগান্তি বাড়বে। তবে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে এই নৌ-রুটে চলবে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।
এদিকে জেলা পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ঈদযাত্রায় প্রতিদিন অন্তত আড়াই হাজার যানবাহন পার হবে বলে ধারণা ঘাট কর্তৃপক্ষের। তাই ঈদের আগে ও পরে অন্তত ৭ দিন পচনশীল বাদে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঘাট পারাপারে অগ্রাধিকার পাবে পশুবাহী ট্রাক।