ঢাকারবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাবনার ইছামতি নদী খনন প্রকল্প সংশোধনের দাবি জাতীয় কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ । ১৭৪ জন

অবৈধ স্থাপনা বহাল রেখে জমি অধিগ্রহণ করে নদী খননের উদ্ভট প্রস্তাবনা বাতিল করে ‘পাবনা জেলার ইছামতী নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ’ প্রকল্পটি সংশোধনের জোর দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ দাবি জানান।

এছাড়া সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে অহেতুক অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের মতো অযৌক্তিক প্রস্তাবনাগুলো দূর করার আগে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন না দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায়, নদী পুনরুদ্ধারের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় ও লুটপাট হবে এবং নদীতীরের অবৈধ দখলদাররা বৈধতা পাবেন বলে জাতীয় কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ‘পাবনা জেলার ইছামতী নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৩৩ দশকি ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি খননের জন্য প্রকল্পব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৫২৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবনায় ২২টি পুরনো সেতু ভেঙে নতুন ২৩টি সেতু নির্মাণের কথা বলেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে জাতীয় কমিটি জানায়, ২০১৯ সালের জরিপে ইছামতি নদীর অবৈধ দখলদারের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫১ জন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এসব দখলদার ও তাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিবর্তে স্থানীয়দের কৃষিজমি ও আবাসভূমি অধিগ্রহণ করে নদী খনন এবং এর প্রশস্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাব বাস্তবতাবিবর্জিত এবং মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া ইছামতি নদীর ওপর ২৩টি সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয় এবং সেই সক্ষমতাও তাদের নেই বলে দাবি করেছে জাতীয় কমিটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী খননের জন্য উচ্চ আদালতের রায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্প প্রস্তাবে সিএস ম্যাপকে পাশ কাটিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে নদী খননের কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ উচ্চ আদালতের রায় ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।