উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর আঞ্চলিক সড়ক ডুবে গেছে। আজ শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে সড়কের দুর্গাপুর ও আনোয়ারপুরে পানি উঠে যাওয়ায় তাহিরপুরের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫০ হাজার মানুষ।
জানা গেছে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ৭২ ঘণ্টায় ৮২০ মিলিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন জেলার ২০ লাখের বেশি মানুষ।
এদিকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উজানে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যার ফলে এ সময়ে এ অঞ্চলের নদ-
নদীসমূহের (সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালি, ভোগাই কংশ, সোমেশ্বরী, যদুকাটা) পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপদসীমা অতিক্রম করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে যার ফলে, এ সময় এ নদীসমূহের পানি সমতল সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায়, তিস্তা নদী ডালিয়া ও দুধকুমার নদী পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।