সঙ্গত কারণ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরী হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। কারণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন ধীরগতির কারণে রেলকে কোটি কোটি টাকা খেসারত দিতে হয় বলেছেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। গত (২ এপ্রিল ২০২৪) রাজধানীর রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের আরএডিপিভুক্ত বিনিয়োগ প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণ করার পরে, প্রকল্পের কাজ শুরু করতে মাসের পর মাস সময় লাগলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ হবে না । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে ধীরগতির কারণে সেই প্রকল্পে খেসারত দিতে হয়। সঙ্গত কারণ ছাড়া খেসারত দেওয়া যাবে না এবং সেটা মেনে নেওয়া হবে না।
জিল্লুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকসানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলতে পারেনা । এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। সকলে মিলে চেষ্টা করলে, মনোযোগ সহকারে কাজ করলে রেলের লোকসান হবে না। জাপান ও ইউরোপের দেশগুলোতে এমনকি ভারতেও রেল এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, তারা পারলে আমরা কেন পারব না। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে নিজের মনে করে রেলের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। কাজ করার দরকার তাই কাজ করছি, এইমনে করে কাজ করলে রেল কখনোই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারবেনা। রেলকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে কাজ করতে হবে।
এর আগে মন্ত্রীর সাথে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিন সাক্ষাৎ করেন । সাক্ষাৎকালে এবিবির অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি এবং নতুন প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।