প্রবাসীদের বড়ো ধরনের দুঃসংবাদ দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিদেশ থেকে ফেরার সময় বহু প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মী আরব আমিরাত, সৌদি আরব,কাতার,কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে স্বর্ণালংকার ও সোনার বার নিয়ে আসেন। এতদিন ঘোষণা দিয়ে একটি স্বর্ণবার আনলে গুণতে হতো ২ হাজার টাকা শুল্ক ও কর। কিন্তু রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনায় এখন স্বর্ণবার আনলে আগের দ্বিগুণ টাকা অথ্যাৎ ৪ হাজার টাকা দিতে হবে প্রবাসীদের।
একদিকে কর দ্বিগুণ করা হয়েছে অন্যদিকে কমানো হয়েছে বৈধভাবে স্বর্ণ আনার পরিমানও। এতদিন একজন প্রবাসী বা যাত্রী বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ ভরি পর্যন্ত সোনা আনাতে পারতো। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি সোনা আনতে পারবে। প্রবাসীরা বৈধভাবে দুটি স্বর্ণবার আনলে দেশে বিক্রি করে ১০/১৫ হাজার টাকা লাভ করতে পারতো। এখন থেকে সেই সুযোগও কমে গেলো। দিন শেষে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ওপর কর ও শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬–এর বিধি ৩–এর উপ-বিধি (১০) মোতাবেক একজন যাত্রী বিদেশ হতে আসার সময় ২৩৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড সকল প্রকার শুল্ক–কর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারেন। দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য উক্ত স্বর্ণের পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের পরিবর্তে ১১৭ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে এর বেশি অতিরিক্ত স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড বহন করলে শাস্তির বিধান সুস্পষ্ট না থাকায় তা বাজেয়াপ্তকরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালা সংশোধন করার প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড আনার ক্ষেত্রে প্রতি ১১.৬৬ গ্রাম বা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের জন্য সর্বমোট ২ হাজার টাকা শুল্ক ও কর পরিশোধ করে থাকেন। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় প্রতি ১১.৬৬ গ্রাম স্বর্ণের জন্য ৪ হাজার টাকা শুল্ক ও কর পরিশোধের বিধান করার প্রস্তাব করছি।